এন্টিহিস্টামিন হল এক শ্রেণির ওষুধ যা বিভিন্ন অ্যালার্জিক উপসর্গ যেমন হাঁচি, চুলকানি, এবং সর্দির চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ায় শরীরের কোষ থেকে নির্গত হিস্টামিনের প্রভাবকে বন্ধ করে দেওয়াই হলো এন্টিহিস্টামিনের কাজ। 

Table of Contents

এলার্জি কি?

আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন বাহ্যিক কোন বস্তু (allergen) যেমন পরাগ, ধুলোবালি ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখায় তখন শরীরে এক ধরনের প্রভাব তৈরি হয়। এই প্রভাবগুলো সাধারণত হাঁচি, কাশি, চুলকানি, ফোলা, অথবা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণগুলি দিয়ে শুরু হয়। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এইসব বস্তু বা এলার্জেনকে দেহের জন্য ক্ষতিকারক বলে মনে করে এর বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করে। ফলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস, অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস, হাঁপানি, একজিমা ইত্যাদি শুরু হয়। 

অ্যালার্জির কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই। তবে অ্যান্টিহিস্টামিন, কর্টিকোস্টেরয়েড এবং ডিকনজেস্ট্যান্টের মতো ওষুধ দিয়ে অ্যালার্জির চিকিৎসা করা যেতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে, অ্যালার্জেন ইমিউনোথেরাপি (অ্যালার্জি শট নামেও পরিচিত) ব্যবহার করা যেতে পারে। 

হিস্টামিন কি?

হিস্টামিন একটি রাসায়নিক পদার্থ যা প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোষে উপস্থিত থাকে। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হিসেবে এটি দেহের কিছু কোষ থেকে নিঃসৃত হয়, যেমন মাস্ট সেল (mast cell) এবং বেসোফিল, যার ফলে চুলকানি, ফোলাভাব এবং লালচে হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।

যে সকল বস্তু বা উপাদান অ্যালার্জি সৃষ্টি করে

অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এমন কিছু বস্তু বা পদার্থ হলোঃ 

  • বাতাসের ধুলোবালি 
  • ফুলের পরাগ
  • পোষা প্রাণীর খুশকি, পশম, ইত্যাদি 
  • দীর্ঘদিনের অব্যবহৃত কাপড়, বিছানা ইত্যাদি থেকে সৃষ্ট মাইট
  • পোকার কামড় বা হুল
  • নির্দিষ্ট কিছু খাবার (ব্যক্তি ভেদে) 
  • কিছু ওষুধ, ইত্যাদি 

হিস্টামিন কী ধরণের অ্যালার্জির লক্ষণ তৈরি করে?

দেহের কোথায় হিস্টামিন নিঃসৃত হয় তার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের উপসর্গ হতে পারে যেমনঃ 

  • ত্বক ফুলে যাওয়া  
  • চুলকানি, চোখ লাল হয়ে যাওয়া
  • ত্বকের ফুসকুড়ি বা লাল হয়ে যাওয়া 
  • নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া 
  • কাশি
  • শ্বাসকষ্ট
  • হাঁচি, ইত্যাদি 

অ্যান্টিহিস্টামিনস এর ধরণ

অ্যান্টিহিস্টামিন সাধারণত দুই ধরণের। 

১। H1 রিসেপ্টর বিরোধী বা H1 ব্লকার। এই ধরণের এন্টিহিস্টমিন অ্যালার্জির জন্য ব্যবহৃত হয়। 

২। H2 রিসেপ্টর বিরোধী বা H2 ব্লকার। এগুলি গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ [GERD] (একে অ্যাসিড রিফ্লাক্সও বলা হয়), পেপটিক আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস, মোশন সিকনেস, বমি বমি ভাব এবং বমি সহ বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। 

H1 ব্লকারকে আবার আরও দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা যায়ঃ 

১। প্রথম প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিন, যেমনঃ 

  • Chlorpheniramine (Antista®, Sinamin®).
  • Cyproheptadine (Periactin®).
  • Diphenhydramine (Adryl®, Pedeamin®).
  • Hydroxyzine (Roxyzin®, Xyril®).
  • Phenindamine (Nolahist®).

২। দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিন, যেমনঃ 

  • Azelastine (Azelast®, Zelanex®).
  • Loratadine (Loratin®, Oradin®).
  • Cetirizine (Alatrol®, Atrizin®).
  • Desloratadine (Momento®, Sedno®).
  • Fexofenadine (Axodin®, Fenadin®).

H2 ব্লকার এন্টিহিস্টামিনের কিছু উধাহরণ নিচে দেওয়া হলোঃ 

  • Cimetidine 
  • Famotidine (Famomax®, Famotack®).
  • Ranitidine (Neoceptin R®, Neofast-S).

এলার্জি ছাড়াও আরও যেসকল ক্ষেত্রে এন্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা হয়ঃ 

H1 ব্লকারঃ 

  • অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (সম্ভাব্য কারণ এলার্জেন) 
  • অ্যালার্জিক কনজেক্টিভাইটিস (সম্ভাব্য কারণ এলার্জেন) 
  • আমবাত (hives) এবং ত্বকের ফুসকুড়ি
  • সর্দি (সম্ভাব্য কারণ ভাইরাস) 
  • খাবার থেকে এলার্জি 
  • নির্দিষ্ট ওষুধের প্রতি এলার্জি
  • পোকার কামড় এবং হুল, ইত্যাদি 

প্রথম প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিন আরও সেসকল ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ঃ

  • অনিদ্রা
  • ভ্রমণজনিত বমি বা মাথা ঘুরানো 

H2 অ্যান্টিহিস্টামিন যেসকল ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ঃ 

  • বুক জ্বলা 
  • গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (GERD)।
  • ডুওডেনাল এবং গ্যাস্ট্রিক আলসার (Duodenal and gastric ulcers) 
  • জোলিঙ্গার-এলিসন সিন্ড্রোম (Zollinger-Ellison syndrome) 

আরও যেসকল ক্ষেত্রে এন্টিহিস্টামিন ব্যবহার করা যেতে পারেঃ

  • অ্যানোরেক্সিয়া বা ক্ষুধা মন্দা 
  • মাথাব্যথা
  • অ্যানাফিল্যাক্সিস (Anaphylaxis) 
  • ভার্টিগো (মাথা ঘোরা) 
  • পারকিনসন্স রোগ (Parkinson’s disease) 
  • কয়েক ধরনের হাড়ের ব্যথা, ইত্যাদি। 

প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিনের মধ্যে পার্থক্য কী?

   বৈশিষ্ট্য   প্রথম প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিন      দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিন    
রাসায়নিক গঠন তুলনামূলক সরল জটিল 
লিপিডে দ্রাব্যতা বেশি দ্রবণীয় কম দ্রবণীয় 
তন্দ্রা উদ্রেককারী বেশি কম 
    কার্যকারিতার সময়কাল     ক্ষণস্থায়ী দীর্ঘস্থায়ী 
অনিদ্রার চিকিৎসায় কার্যকরি কম কার্যকরি 
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে বেশি  তুলনামূলকভাবে কম   

 

অ্যান্টিহিস্টামিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি কী কী?

প্রথম প্রজন্মের এন্টিহিস্টামিনগুলোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিচে দেওয়া হলোঃ 

  • তন্দ্রা
  • মুখগহ্বর শুকিয়ে যাওয়া
  • চোখের পানি কমে যাওয়া 
  • ঝাপসা দৃষ্টি
  • মাথা ঘোরা এবং মাথা ব্যাথা
  • নিম্ন রক্তচাপ (α1-adrenergic action) 
  • শ্বাসনালীতে মিউকাস ঘন হওয়া
  • দ্রুত হার্ট রেট
  • প্রস্রাব করতে অসুবিধা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য

দ্বিতীয় প্রজন্মের এন্টিহিস্টামিনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিচে দেওয়া হলোঃ 

  • মাথাব্যথা
  • কাশি
  • ক্লান্তি
  • পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া

H2 ব্লকারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিচে দেওয়া হলোঃ

  • তন্দ্রা
  • জয়েন্ট বা পেশী ব্যথা
  • মাথাব্যথা
  • বয়স্কদের মধ্যে বিভ্রান্তি
  • মাথা ঘোরা
  • স্তন ফুলে যাওয়া 

উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ কেন ঘুমাতে যাওয়ার আগে সেবন করতে হয় জানতে এই অনুচ্ছেদটি পড়ুন। 

অ্যান্টিহিস্টামাইন ওষুধ কোন ডোজ ফর্মে পাওয়া যায়?

এন্টিহিস্টামিন ওষুধ বিভিন্ন ডোজ ফর্মে পাওয়া যায়। নিচে কিছু ডোজ ফর্মের নাম দেওয়া হলোঃ 

  • তরল
  • সাসপেনশন 
  • সিরাপ
  • জেল
  • চোখের ড্রপ
  • ট্যাবলেট
  • নাসাল স্প্রে
  • ক্রিম
  • ক্যাপসুল
  • সাপোজিটরি

কোন এন্টিহিস্টামিন নিতে হবে তা কিভাবে বুঝব?

কোন অ্যান্টিহিস্টামিন নিতে হবে সেটি আপনার ডাক্তার রোগের লক্ষণ, ইতিহাস, বয়স এবং অন্য কোন ওষুধ গ্রহণ করছেন কিনা এসবের উপর নির্ভর করে নির্ধারণ করবেন। অ্যান্টিহিস্টামিন বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ নির্দেশিকা দেওয়া হলোঃ  

১। উপসর্গ বিবেচনা: প্রাথমিকভাবে নাক ও চোখের উপসর্গ যেমন হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং চোখ চুলকানো থাকলে দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিন যেমন লরাটাডিন, সেটিরিজিন এবং ফেক্সোফেনাডিন প্রায়শই প্রথম পছন্দ। যদি hives বা ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ থাকে তবে প্রথম প্রজন্মের এবং দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামাইন উভয়ই কার্যকর হতে পারে। 

২। রোগের ইতিহাসঃ রোগের ইতিহাসের উপর নির্ভর করে কিছু এন্টিহিস্টামিন উপযুক্ত নাও হতে পারে। যেমন গ্লুকোমা, বর্ধিত প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড, বা প্রস্রাব ধরে রাখার সমস্যা থাকলে এন্টিকোলিনএর্জিক টাইপের অ্যান্টিহিস্টামাইন আপনার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। এন্টিকোলিনএর্জিক টাইপের কিছু অ্যান্টিহিস্টামিন হলোঃ

  • Chlorpheniramine (Antista®, Sinamin®)
  • Cyproheptadine (Periactin®)
  • Doxylamine (Vomix DR®, Vertina-DX®)
  • Hydroxyzine (Roxyzin®, Xyril®)
  • Dimenhydrinate (Cinaron Plus®, Revart®)
  • Diphenhydramine (Adryl®, Pedeamin®)
  • Meclizine (Emezin®, Emezin Plus®)
  • Promethazine (Otosil®)

৩। বয়সঃ কিছু অ্যান্টিহিস্টামাইন একটি নির্দিষ্ট বয়সের কম বয়সী শিশুদের জন্য বা বৃদ্ধদের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে ডোজ নির্দেশাবলী সাবধানতার সাথে অনুসরণ করতে হবে। 

৪। সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ  প্রথম-প্রজন্ম এবং দ্বিতীয়-প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামাইন উভয়ই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে যেমন তন্দ্রা, শুষ্ক মুখ এবং মাথা ঘোরা, ইত্যাদি। তবে, দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যান্টিহিস্টামিনগুলি তন্দ্রা এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার সম্ভাবনা কম। 

অ্যান্টিহিস্টামিন সহ যেকোন নতুন ওষুধ শুরু করার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট উপসর্গ এবং রোগের ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে সঠিক অ্যান্টিহিস্টামিনটি সঠিক ডোজে প্রেসক্রাইব করতে পারবেন।  

এন্টিহিস্টামিন কি কোষ্ঠকাঠিন্য বা পায়খানা কষা সৃষ্টি করতে পারে? 

হ্যাঁ, যেসব এন্টিহিস্টামিনের এন্টিকোলিনএর্জিক প্রোপার্টি আছে সেগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এন্টিকোলিনএর্জিক অ্যান্টিহিস্টামিন যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করতে পারে সেগুলো হলোঃ 

  • Chlorpheniramine (Antista®, Sinamin®)
  • Cyproheptadine (Periactin®)
  • Doxylamine (Vomix DR®, Vertina-DX®)
  • Hydroxyzine (Roxyzin®, Xyril®)
  • Dimenhydrinate (Cinaron Plus®, Revart®)
  • Diphenhydramine (Adryl®, Pedeamin®)
  • Meclizine (Emezin®, Emezin Plus®)
  • Promethazine (Otosil®)

এন্টিহিস্টামিন কি মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে?

হ্যাঁ, এন্টিহিস্টামিন মাথা ঘোরার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে প্রথম প্রজন্মের এন্টিহিস্টামিনগুলো ব্লাড ব্রেইন বেরিয়ার নামক লিপিড লেয়ারের মধ্য দিয়ে সহজেই ব্রেইনে ঢুকে যেতে পারে বলে এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের এন্টিহিস্টামিনগুলো থেকে বেশি হয়। 

অ্যান্টিহিস্টামিন কি উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে?

হ্যাঁ, যাদের ইতোমধ্যে উচ্চরক্তচাপ আছে তারা কিছু এন্টিহিস্টামিন, বিশেষ করে এন্টিকোলিনএর্জিক অ্যান্টিহিস্টামিন সেবন করলে উচ্চ হৃদস্পন্দন সহ রক্তচাপ বাড়তে পারে।  

এন্টিহিস্টামিন কি ডিপ্রেশনের কারণ হতে পারে?

যেসব রোগীরা অ্যান্টিহিস্টামিন সেটিরিজিন এবং হাইড্রোক্সিজিন গ্রহণ করেন তাদের বিষণ্ণতা তুলনামূলকভাবে বেশি বলে একটি সমীক্ষায় পাওয়া গেছে। তবে এ ব্যাপারে আর অধিকতর গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে (Ozdemir, P. G.

এন্টিহিস্টামিন কি ওজন বাড়াতে পারে?

হ্যাঁ, কিছু অ্যান্টিহিস্টামাইন ওজন বাড়াতে পারে। বিশেষ করে সিপ্রোহেপ্টাডিন নামক একটি অ্যান্টিহিস্টামিন খাবারের রুচি এবং ওজন বাড়ানোর জন্যই অপব্যবহার করা হয়। 

দুই ধরণের অ্যান্টিহিস্টামিন একসাথে নেওয়া যাবে? 

ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত দুইটি অ্যান্টিহিস্টামাইনগুলি একত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়। 

এন্টিহিস্টামিন কাজ না করলে আমার কী করা উচিত?

এন্টিহিস্টামিন কাজ না করলে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন। 

গর্ভবতী হলে বা বুকের দুধ খাওয়ালে অ্যান্টিহিস্টামিন নিতে পারবো?

আপনি যদি গর্ভবতী হন বা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান তাহলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে কিছু অ্যান্টিহিস্টামিন জন্মগত ত্রুটি সৃষ্টি করতে পারে (Shawky, R. M.) 

এন্টিহিস্টামিন কি ডিমেনশিয়া সৃষ্টি করে?

কিছু অ্যান্টিহিস্টামিন বিশেষ করে এন্টিকোলিনএর্জিক এন্টিহিস্টামিনের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন Diphenhydramine (Adryl®, Pedeamin®) অ্যাসিটাইলকোলিন নামক একটি নিউরোট্রান্সমিটারের প্রভাবকে বাধা দেয়। এই নিউরোট্রান্সমিটার স্মৃতিশক্তি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা যায় Diphenhydramine ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ায় (Richardson, K.)

References

Ozdemir, P. G. (2014, Aug). Assessment of the effects of antihistamine drugs on mood, sleep quality, sleepiness, and dream anxiety. Retrieved from National Library of Medicine: https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/24673474/ 

Shawky, R. M. (2015, Oct). The relation between antihistamine medication during early pregnancy & birth defects. Retrieved from ScienceDirect: https://www.sciencedirect.com/science/article/pii/S1110863015000452 

Richardson, K. (2018, Apr). Anticholinergic drugs and risk of dementia: case-control study. Retrieved from National Library of Medicine: https://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC5915701/ 

Last Updated on November 5, 2023