গাইনেকোমাস্টিয়া (Gynecomastia) রোগে আক্রান্ত একজন পুরুষ স্বভাবতই তার এই সমস্যাটি নিয়ে অন্য কারো সাথে কথা বলতে বিব্রতবোধ করেন। গাইনেকোমাস্টিয়া বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য রোগীদের অজানা আর যার ফলে সমস্যাটি নিয়ে রোগীরা অনেক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। বস্তুত এটি জটিল কোনো রোগ নয় বরং এর জন্য রয়েছে খুব সহজ সমাধান। একজন গাইনেকোমাস্টিয়া রোগীর সকল কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তর সহ এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য কখন কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে সেই বিষয়ে এই আরটিকেলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

গাইনেকোমাস্টিয়া কি?

গাইনেকোমাস্টিয়া হলো একটি মেডিকেল টার্ম যা দ্বারা বোঝানো হয় পুরুষের স্তন বৃদ্ধি। মহিলাদের শরীরে স্তন সুগঠিত হয় কিন্তু পুরুষ মানুষের স্তন স্বাভাবিক নিয়মেই সুগঠিত হয় না। অস্বাভাবিক ভাবে কোনো পুরুষের ক্ষেত্রে স্তন বড় হতে দেখা গেলে তাকে গাইনেকোমাস্টিয়া বলা হয়। গাইনেকোমাস্টিয়া দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ

  • শুধুমাত্র ফ্যাটি টিস্যু বা চর্বি জমে স্তনের জায়গায় ফোলাভাব হলে তাকে সিউডোগাইনেকোমাস্টিয়া বলা হয়।
  • গ্ল্যান্ডুলার টিস্যু ও ফ্যাটি টিস্যুর সংমিশ্রণে সৃষ্ট ফোলাভাবকে প্রকৃত গাইনেকোমাস্টিয়া হিসেবে অভিহিত করা হয়।

গাইনেকোমাস্টিয়া এর কারণ

সাধারণত হরমোনজনিত সমস্যার কারণে গাইনেকোমাস্টিয়া হয়ে থাকে। পুরুষের দেহের প্রধান যৌন হরমোন হলো টেস্টোস্টেরন এবং সেই সাথে স্বাভাবিক নিয়মেই সামান্য পরিমাণে ইস্ট্রোজেন হরমোন উৎপন্ন হয়।‌ পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে হ্রাস পেলে এবং ইস্ট্রোজেন হরমোন বেড়ে যাওয়ার ফলাফল স্বরূপ স্তনের বৃদ্ধি হয়ে থাকে।‌ হরমোনের এমন অস্বাভাবিকতা সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে (১১ থেকে ১৫ বছর‌ বয়সে) ঘটে থাকে এবং ঠিক কি কারণে এমনটি হয় সেটা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো স্পষ্ট নয়, তবে সম্ভাব্য কয়েকটি কারণ হলোঃ

  • হাইপোগোনাডিজম
  • হাইপারথাইরোডিজম
  • কিডনি ফেইলুর
  • লিভার ফেইলুর
  • লিভার সিরোসিস
  • অন্ডকোষ/পিটুইটারি গ্ল্যান্ড/এড্রেনাল‌ গ্ল্যান্ডের টিউমার
  • মদ্যপান / মাদক সেবন
  • অতিরিক্ত ওজন / স্থূলতা
  • ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি

জন্মের পরে অর্থাৎ শিশু বয়সেই অনেক ছেলেদের স্তনে সামান্য ফোলা‌ভাব দেখা যায়।‌ গর্ভকালীন সময়ে মায়ের শরীর থেকে বাচ্চার শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন প্রবেশের ফলে এমনটি হয়ে থাকে।‌ তবে এর জন্য কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে না। কারণ, পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি আপনাআপনি ঠিক হয়ে যায়।

এছাড়াও বৃদ্ধ বয়সে (৫০ বছর বয়সের পর থেকে) টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎপাদন কমতে থাকে এবং সেই সাথে শরীরে ফ্যাট/চর্বি জমে যাওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। আর তাই এই বয়সে অনেকের কাছেই মনে হয় যেন স্তন বড় হয়ে যাচ্ছে যা গাইনেকোমাস্টিয়া হিসেবে বিবেচিত হবে।

গাইনেকোমাস্টিয়া লক্ষণ

সাধারণত পুরুষ মানুষের বুক সমান থাকে অর্থাৎ স্তনের জায়গায় ফোলাভাব বোঝা যায় না। কিন্তু একজন গাইনেকোমাস্টিয়া রোগীর ক্ষেত্রে স্তন বড় হওয়া বা ফোলাভাব দেখা যায়। এটি এই রোগের প্রধান লক্ষণ তবে এর পাশাপাশি স্তনে ব্যথা বোধ হতে পারে। শারীরিক এই অস্বাভাবিকতা থেকে মানসিক কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমনঃ হীনমন্যতায় ভোগা, বাইরে বের হতে লজ্জা পাওয়া, পোষাক পরিধান করতে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি।

স্তনের ফোলাভাব তথা গাইনেকোমাস্টিয়ার লক্ষণ দেখা গেলে ঘাবড়ে যাওয়া বা চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই এবং নিম্নলিখিত কোনো জটিলতা দেখা না দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

  • অতিরিক্ত ব্যথা বোধ
  • স্তন থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া
  • যে কোনো একটি স্তন অস্বাভাবিক ভাবে বেশি বাড়তে থাকা ইত্যাদি

মূলত এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে তা স্তনের অন্যান্য রোগ যেমনঃ সিস্ট, ফোঁড়া, টিউমার, লাইপোমা, হেমাটোমা, স্তনের প্রদাহ, ফারাঙ্কল অথবা স্তন ক্যান্সার কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গাইনেকোমাস্টিয়া পরীক্ষা

গাইনেকোমাস্টিয়া নির্ণয়ের জন্য সাধারণত বিশেষ কোনো পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে না।‌ বরং বুকে হাত দিয়ে পর্যবেক্ষণ (Physical examination) এর মাধ্যমেই একজন চিকিৎসক বিষয়টি বুঝতে পারেন। তবে যেহেতু এটি একটি হরমোনজনিত সমস্যা আর তাই শরীরে হরমোনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়াও স্তনের অন্যান্য রোগের সাথে এর পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য আরো কতিপয় পরীক্ষা নিরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে।‌ যেমনঃ

হরমোনের পরীক্ষাঃ

  • S. Testosterone
  • FSH, hCG, LH ইত্যাদি

অন্যান্য পরীক্ষাঃ

  • রক্ত পরীক্ষা
  • স্তনের আলট্রাসনোগ্রাফি
  • ম্যামোগ্রাম (Mammogram)
  • অন্ডকোষের আলট্রাসনোগ্রাফি
  • বায়োপসি (Biopsy)
  • লিভার ফাংশন টেস্ট ইত্যাদি

গাইনেকোমাস্টিয়া রোগের চিকিৎসা ও ঔষধ 

পরীক্ষায় যদি স্তনের অন্য কোনো রোগ ধরা না পড়ে শুধুমাত্র গাইনেকোমাস্টিয়া নির্ণয় হয় তবে সেক্ষেত্রে শুরুতেই কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত নয়।‌‌ কারণ, বয়ঃসন্ধিকালীন হরমোনজনিত এই‌ সমস্যাটি একদম নির্দোষ অর্থাৎ এর‌ কোনো ক্ষতিকারক দিক বা জটিলতা নেই। বরং অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে পরবর্তী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে আপনাআপনি এটি ভালো হয়ে যায়। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রেও সাধারণত এটি কখনো ক্ষতিকারক হয়ে উঠে না, তবে আপনাআপনি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

বয়ঃসন্ধিকালীন সময়ে গাইনেকোমাস্টিয়ায় স্তনের বৃদ্ধি যদি এতোই বেশি হয় যে, বাইরে চলাফেরা করতে খুব বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় ‌সেক্ষেত্রে চিকিৎসা গ্রহণ করা যেতে পারে। গাইনেকোমাস্টিয়ার সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা হলো সার্জারি বা লাইপোসাকশন। এছাড়াও হরমোন থেরাপি নেওয়া এবং কতিপয় ঔষধ সেবন গাইনেকোমাস্টিয়া থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। (Newman, 2021)

গাইনেকোমাস্টিয়া রোগের ঔষধ 

হরমোন থেরাপিঃ S. Testosterone টেস্ট করানোর মাধ্যমে যদি দেখা যায় যে, শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতির ফলে গাইনেকোমাস্টিয়ার সৃষ্টি হয়েছে সেক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন থেরাপি নেওয়া যেতে পারে।‌ বিশেষ করে বৃদ্ধদের জন্য এই ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। কারণ, বৃদ্ধ বয়সে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতির দরুন গাইনেকোমাস্টিয়া ছাড়াও আরো নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর হরমোন থেরাপি এক্ষেত্রে একটি চমৎকার সমাধান হতে পারে। তবে এই পদ্ধতির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে আর তাই চিকিৎসা গ্রহণের পূর্বে চিকিৎসকের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা উচিত।

ঔষধ সেবনঃ গাইনেকোমাস্টিয়া সমস্যাটি ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাব বন্ধ করতে কতিপয় ঔষধ আবিষ্কৃত হয়েছে‌ যা গাইনেকোমাস্টিয়ার সমাধানে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই পদ্ধতিটি আপনার জন্য কতটা কার্যকরী হবে সেই বিষয়ে একজন চিকিৎসক সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। সেই সাথে ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি বিশেষ বিবেচনায় রাখতে হবে।

গাইনেকোমাস্টিয়া ডাক্তার

হরমোন থেরাপি নেওয়া বা ঔষধ সেবন দুটি ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এই ক্ষেত্রে কোন বিষয়ের চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে সেটা জানা থাকা দরকার। প্রাথমিক ভাবে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অথবা হরমোন বিশেষজ্ঞ (এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট) এর কাছে যেতে হবে। অতঃপর সেই চিকিৎসক যদি মনে করেন যে ঔষধ বা হরমোন থেরাপি নয় বরং সার্জারির প্রয়োজন হবে সেক্ষেত্রে একজন প্লাস্টিক সার্জন এর কাছে রেফার করবেন। গাইনেকোমাস্টিয়া সার্জারির জন্য বাংলাদেশে বেশ কিছু স্বনামধন্য প্লাস্টিক সার্জন রয়েছে।

গাইনেকোমাস্টিয়া সার্জারি খরচ বাংলাদেশ

বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যে পদ্ধতিতে গাইনেকোমাস্টিয়ার‌ চিকিৎসা করা হয় তাকে লাইপোসাকশন বলা হয়। এক্ষেত্রে কাঁটা ছেঁড়ার দরকার পড়ে না এবং অধিক রক্তক্ষরণ, সেলাইয়ের দাগ, হাসপাতালে ভর্তি থাকা এসবের প্রয়োজন পড়ে না। বরং এক্ষেত্রে স্তন বৃন্তের (নিপল) পাশে ছোট্ট একটি ফুটো করে বিশেষ একধরনের টিউব ঢুকিয়ে ফ্যাট ও গ্ল্যান্ডুলার টিস্যু অপসারণ করা হয়। এই ধরনের সার্জারিতে তেমন কোনো ঝুঁকি, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও জটিলতা দেখা যায় না। এটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির চিকিৎসা পদ্ধতি এবং শুধুমাত্র বিশেষ ট্রেনিং প্রাপ্ত সার্জনরা এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে থাকেন। যার ফলে এই চিকিৎসা পদ্ধতির খরচ কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।‌

গাইনেকোমাস্টিয়া প্রাকৃতিক চিকিৎসা

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গাইনেকোমাস্টিয়া কোনো চিকিৎসা ব্যতিত এমনিতেই ভালো হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। বাকি অন্যান্য ক্ষেত্রে ঔষধ সেবন/হরমোন থেরাপি/সার্জারি করানোর আগে কিছুদিন পর্যন্ত প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি (ব্যায়াম করা) অবলম্বনের ব্যাপারে দুইটি যুক্তি হলোঃ

১। সময়ের সাথে সাথে গাইনেকোমাস্টিয়া জটিলতর হয় না। এমনকি এটি থেকে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সুতরাং, কিছু দিন সময় নিয়ে চেষ্টা করা যেতে পারে।

২। সার্জারি ব্যয়বহুল,‌ পক্ষান্তরে প্রাকৃতিক পদ্ধতি সহজ এবং কোনো খরচ নেই।

তাহলে প্রাকৃতিক পদ্ধতির ‌কথা বেশি বলা হয় না কেন?‌ কারণ, এক্ষেত্রে সফলতার সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশ কম থাকে।‌ তবে এই পদ্ধতি‌ গ্রহণের সবচেয়ে বড়‌ আরেকটি যুক্তি হলো,‌ সিউডোগাইনেকোমাস্টিয়া অর্থাৎ যেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ফ্যাট জমে স্তন বড় হয় সেক্ষেত্রে ব্যায়ামের মাধ্যমে সহজ ও কার্যকরী সমাধান পাওয়া যায়। ব্যায়াম ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাছাড়া আপনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ফ্যাট জমে সিউডোগাইনেকোমাস্টিয়া হয়েছে নাকি গ্ল্যান্ডুলার টিস্যুর সংমিশ্রণে প্রকৃত গাইনেকোমাস্টিয়া হয়েছে সেটি নির্ণয় করা যতটা না সহজ তার চেয়েও সহজে আপনি ব্যায়ামের মাধ্যমে কিছুদিন চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও, ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় যা গাইনেকোমাস্টিয়া দূর করার আরেকটি বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।

গাইনেকোমাস্টিয়ার ব্যায়াম

গাইনেকোমাস্টিয়া ব্যায়াম

যেকোনো ধরনের ব্যায়াম ক্যালরি ক্ষয় করার মাধ্যমে শরীরের ফ্যাট/চর্বি গলিয়ে দিতে পারে। সেই সাথে সব ধরণের ব্যায়াম একজন পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। আর তাই হাঁটাহাঁটি, দৌড়াদৌড়ি, সাইকেল চালানো, সাঁতার সহ যেকোনো ধরনের ব্যায়াম দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। তবে যে সমস্ত ব্যায়ামে বুকের মাংসপেশি বেশি সম্পর্কিত থাকে সেই ব্যায়াম গুলো তুলনামূলক বেশি উপকারিতা বয়ে আনতে পারে বলে মনে করা হয়। যেমনঃ (Brennan, 2020)

  • Bench Press: চিৎ হয়ে শুয়ে থেকে হাত দিয়ে ভারোত্তোলন করা যার ফলে বুকের পেশি দৃঢ় হয় এবং চর্বি কমতে থাকে
  • Push Ups: পুশ-আপ বহুল উপকারী একটি ব্যায়াম যা বুকের পেশি দৃঢ় করে।
  • Bent-Forward Cable Crossover: দুই পাশে দুইটি খুটির সাথে ইলাস্টিক রশি বেঁধে মাঝখানে দাড়িয়ে দুই হাতে টানাটানি করা অথবা জিমে গিয়ে করা যেতে পারে।

গাইনেকোমাস্টিয়ার কোনো ‌স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে যদি এমনিতে ভালো না হয় সেক্ষেত্রে ব্যায়ামের মাধ্যমে চেষ্টা করা যেতে পারে তবে তাতেও‌ কাজ না হলে উন্নত প্রযুক্তির চিকিৎসা (লাইপোসাকশন) হতে পারে একটি দারুন সমাধান। আবার কেউ যদি সামান্য ফোলাভাব উপেক্ষা করে সারাজীবনে এর চিকিৎসা না‌ করিয়ে থাকেন তাতেও কোনো সমস্যার সৃষ্টি হবে না।

 

References

Brennan, D. (2020, 11 8). Best Exercises for Gynecomastia. Retrieved from webmd https://www.webmd.com/men/best-exercises-gynecomastia
Newman, T. (2021, 12 20). Everything you need to know about gynecomastia (enlarged breasts in men). Retrieved from medicalnewstoday: https://www.medicalnewstoday.com/articles/266129

Last Updated on April 16, 2023