“যক্ষা হলে রক্ষা নাই এই কথার ভিত্তি নাই” এই স্লোগানটির সাথে আমরা প্রায় সবাই কমবেশি পরিচিত। একমাত্র সচেতনতা এবং সঠিক চিকিৎসাই পারে এই স্লোগানকে বাস্তবে রূপ দিতে। এটি টিবি রোগ নামেও বহুল পরিচিত। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বেই একসময় টিবি রোগকে মহামারী রোগ হিসেবে দেখা হত। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতির কারণে এখন আর একে মহামারী রোগ বলা যায় না ।
তবে তার মানে এই না যে পৃথিবীতে এখন যক্ষা বলতে কোন রোগ নেই! উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে এ রোগে আক্রান্ত হয় প্রায় ১ কোটি মানুষ এবং মারা যায় ১৫ লক্ষ । তাই যক্ষাকে হালকা করে নেওয়ার কোন উপায় নেই। টিবি রোগ কি, টিবির লক্ষণ ধরা পরলে কি করা উচিত, ইত্যাদি আরো বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান পাবেন আমাদের আজকের অনুচ্ছেদে।
টিবি রোগ কি?
টিবি রোগ এটি একধরনের মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি। বাংলায় যক্ষা/যক্ষ্মা, ইংরেজিতে টিউবারকিউলোসিস (Tuberculosis) যাকে সংক্ষেপে টিবি বলেও ডাকা হয়, কারণ মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (Mycrobacterium Tuberculosis) নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে এ রোগের জীবাণু বাতাসে মিশে এবং রোগের সংক্রমণ ঘটায়।
শরীরের যেকোন অর্গানেই যক্ষা হতে পারে। তবে ফুসফুস সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। এছাড়াও লসিকা গ্রন্থি (Lymph node), হাড়, দুই হাড়ের সংযোগস্থল ইত্যাদি স্থানেও হতে পারে। কিন্তু হৃদপিণ্ড, অগ্ন্যাশয় ও থাইরয়েড গ্রন্থিতে এ রোগের সংক্রমণ হয় না।
টিবি রোগ কয় ধরনের হয়?
টিবি সাধারণত ফুসফুসকে সংক্রমিত করলেও, শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও এটি হতে পারে। সংক্রমিত হওয়ার স্থান অনুযায়ী টিবি ২ ধরণের-
১. পালমোনারি টিবি (Pulmonary TB) বা শ্বাসতন্ত্রীয়/ফুসফুসের যক্ষা। শুধুমাত্র ফুসফুসে হলে তাকে পালমোনারি টিবি বলে।
২. এক্সট্রাপালমোনারি টিবি (Extrapulmonary TB) বা অ-শ্বাসতন্ত্রীয়/ফুসফুসের বাইরের যক্ষা। এটি যখন ফুসফুসে না হয়ে শরীরের অন্য জায়গায় হয় তখন তাকে এক্সট্রাপালমোনারি টিবি বলে।
এছাড়া আরো দুইভাবে একে ভাগ করা যায়।
১. সক্রিয় যক্ষা (Active TB)
২. সুপ্ত যক্ষা (Latent TB)
রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেলে সেটাকে সক্রিয় এবং লক্ষণ প্রকাশ না পেলে তাকে সুপ্ত যক্ষা বলে।
টিবি রোগ কি কারণে হয়?
মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (Mycrobacterium Tuberculosis) জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে এ রোগ হয়। এছাড়াও, আক্রান্ত ব্যাক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমেও সংক্রমিত হয়ে থাকে। এ রোগের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়ার অনেকগুলো ভেরিয়েন্ট বা জাত আছে। এদের মধ্যে কিছু কিছু ভেরিয়েন্ট আছে যেগুলো দ্বারা সংক্রমিত হলে যক্ষ্মা নিরাময়যোগ্য নয়।
সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হল, WHO (World Health Organization) এর তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মানুষই যক্ষায় আক্রান্ত। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারা এ রোগের লক্ষণ অনুভব করতে পারে না। এই অবস্থাকে সুপ্ত যক্ষা (Latent TB) বলে।
সুপ্ত যক্ষা সংক্রামক নয় অর্থাৎ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এটি ছড়ায় না। এবং আক্রান্ত ব্যাক্তি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। তবে সুপ্ত থেকে এটি পরবর্তীতে সক্রিয় টিবিতেও রূপান্তরিত হতে পারে।
আরো পড়ুন : যৌন বাহিত রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
টিবি রোগের লক্ষণ কি কি?
টিবি রোগের লক্ষণ , আক্রান্ত ব্যক্তি এবং আক্রান্তের স্থান অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়। তবে বেশিরভাগ যক্ষা রোগীর ক্ষেত্রেই কিছু সাধারণ লক্ষণ প্রকাশ পায়। এ রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল –
পালমোনারি টিবি (Pulmonary TB)
এ রোগের কথা শুনলেই আমাদের মাথায় যে নামটি সবার আগে আসে তা হল পালমোনারি টিবি। এ ধরণের টিবি ফুসফুসকে সংক্রমিত করে। বেশিরভাগ যক্ষা রোগীই পালমোনারি টিবিতে আক্রান্ত হয়। লক্ষণ –
- টানা ৩ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাশি
- কাশির সাথে রক্ত এবং কফ বের হওয়া
- বুকে ব্যাথা হওয়া
- নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
- ক্লান্তি
- জ্বর
- রাতে শরীর ঘামা
- খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া
- শরীরের ওজন কমা
এক্সট্রাপালমোনারি টিবি (Extrapulmonary TB)
ফুসফুস ব্যতীত শরীরের অন্য কোথাও যক্ষা হলে তাকে এক্সট্রাপালমোনারি টিবি বলে। যেমন: হাড়, লিভার, লসিকাগ্রন্থি ইত্যাদি অর্গানে। ফুসফুস ছাড়াও মানুষের দেহে আরও ১০ ধরনের টিবি হতে পারে।
১. লসিকাগ্রন্থির যক্ষা (TB Lymphadenitis)
অ-শ্বাসতন্ত্রীয় যক্ষাগুলোর মধ্যে লসিকাগ্রন্থির আক্রান্তের হার অন্যান্য যক্ষার চেয়ে বেশি। এটি আমাদের ঘাড়ে থাকা লসিকাগ্রন্থিকে আক্রমন করে। ঘাড়ের লসিকাগ্রন্থি কে বলা হয় Cervical Lymph nodes। এছাড়াও শরীরের যেকোন লসিকাগ্রন্থিতেই এটি হতে পারে।
লক্ষণ-
- আক্রান্ত লসিকাগ্রন্থি ফুলে যায়
- জ্বর
- দুর্বলতা
- ওজন কমে যায়
- রাতে শরীর ঘামা
২. হাড় ও হাড়ের জয়েন্টের যক্ষা (Skeletal TB)
এই ধরণের যক্ষা খুবই বিরল প্রকৃতির। শরীরের যেকোন হাড়েই এটি হতে পারে। মূলত পালমোনারি এবং লসিকাগ্রন্থের টিবি থেকে এটি বিস্তার লাভ করে হাড়কে সংক্রমিত করে। প্রথম দিকে কোন লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও সময় বাড়ার সাথে সাথে নিম্নরূপ লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় –
- মেরুদন্ডে ব্যাথা হয়
- আক্রান্ত স্থান ফুলে যায়
- ফোড়া (Abscess) হয়
- হাড়ের বিকৃতি ঘটে
৩. মিলিয়ারি টিবি (Miliary TB)
মিলিয়ারি টিবি এক বা একাধিক অঙ্গকে প্রভাবিত করে। এই ধরনের টিবি প্রায়ই ফুসফুস, অস্থি মজ্জা এবং লিভারকে সংক্রমিত করে। তবে এটি মেরুদণ্ড, মস্তিষ্ক এবং হার্ট সহ শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।যখন আক্রান্ত স্থান থেকে কোন না কোন ভাবে এই জীবাণু রক্তের সাথে মিশে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে তখন শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট টিউবারক্যালসের সৃষ্টি হয়। এভাবে সারা শরীর জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারাই সাধারণত এ রোগে আক্রান্ত হয়।
মিলিয়ারি টিবি রোগের লক্ষণ অন্যান্য টিবির মতই। টিবি যদি রক্তে মিশে যায় তাহলে লোহিত রক্ত কণিকার (Red blood cell) সংখ্যা কমে যায় এবং শরীরে ফুসকুড়ি উঠে।
৪. প্রজনন তন্ত্রীয় যক্ষা (Genitourinary TB)
অ-শ্বাসতন্ত্রীয় যক্ষাগুলোর মধ্যে আক্রান্তের হারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হল প্রজনন তন্ত্রীয় যক্ষা। এটি যৌনাঙ্গ বা মূত্রনালীর যে কোনো অংশকে সংক্রমিত করতে পারে। এটি সাধারণত ফুসফুস থেকে রক্ত বা লিম্ফ নোডের (Lymph node) মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
এই ধরণের রোগীদের যৌনাঙ্গে এবং যৌন পথে টিউবারকুলার আলসার (Tubercular ulcer) হয়। এছাড়া অন্যান্য যে লক্ষণগুলো দেখা যায় –
- অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া
- প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা
- প্রস্রাবের প্রবাহ কমে যাওয়া বা ব্যাহত হওয়া
- তলপেটে ব্যাথা
- পিঠে ব্যাথা
- বীর্যের পরিমাণ কমে যাওয়া
৫. লিভার টিবি (Liver TB)
এই রোগকে হেপাটিক টিবিও (Hepatic TB) বলা হয়। লিভার টিবি ফুসফুস, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ (GIT), লিম্ফ নোড বা পোর্টাল শিরা (Portal vein) থেকে লিভারে ছড়ায়। লিভারে যক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা ১% থেকেও কম।
লিভার টিবি রোগের লক্ষণ –
- জ্বর
- পেটের উপরের অংশে ব্যথা
- লিভার বড় হয়ে যাওয়া
- জন্ডিস
৬. পরিপাক তন্ত্রের টিবি (Gastrointestinal TB)
পরিপাক তন্ত্র টিবি রোগের লক্ষণ –
- পেটে ব্যথা
- খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া
- ওজন কমে যাওয়া
- ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য
- বমি বমি ভাব
৭. মেনিনজাইটিস টিবি (Meningitis TB)
এটি মেনিনজিয়াল টিউবারকুলোসিস (Meningeal tuberculosis) নামেও পরিচিত। মেনেনজিস (Meninges) হল মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ডের চারপাশে ঘিরে থাকা আবরণ।
টিবি ফুসফুস থেকে বা রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে মেনিনজেসে ছড়িয়ে যেতে পারে। অন্যান্য টিবির তুলনায় মেনিনজাইটিস টিবি তুলনামূলক ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে।
মেনিনজাইটিস টিবির লক্ষণ সমূহ
- ব্যথা
- ক্লান্তি
- ক্ষুধামন্দা
- মাথাব্যথা
- সল্প মাত্রার জ্বর
- বমি বমি ভাব এবং বমি
- আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা
- ঘাড় নাড়াতে সমস্যা হয়
৮. টিবি পেরিটোনাইটিস (TB Peritonitis)
আমরা সহজ বাংলায় যেটাকে পেট বলি, মেডিকেলের ভাষায় এই পেট এবং পেটের ভিতর যেসব অঙ্গ থাকে সেই অঞ্চলকে Abdomen বলা হয়। Abdomen কে ঘিরে থাকা আবরণকে পেরিটোনিয়াম (Peritonium) বলে এবং পেরিটোনিয়ামের প্রদাহকে (Inflammation) পেরিটোনাইটিস বলে। যখন টিবির কারণে পেরিটোনাইটিস (Peritonitis) হয় তখন তাকে টিবি পেরিটোনাইটিস বলে।
লক্ষণ –
- পেটে পানি আসা
- জ্বর
- বমি বমি ভাব
- খাওর রুচি কমে যাওয়া
৯. টিবি পেরিকার্ডাইটিস (TB pericarditis)
হার্টকে সুরক্ষা দিতে হার্টের চারপাশে যে আবরণ থাকে তার নাম হল পেরিকার্ডিয়াম (Pericardium)। টিবি পেরিকার্ডিয়ামে ছড়িয়ে পরলে তাকে টিবি পেরিকার্ডাইটিস বলে।
লক্ষনগুলো-
- বুক ব্যাথা
- জ্বর
- বুক ধড়ফড় করা
- নিঃশ্বাসের দুর্বলতা
- কাশি
১০. ত্বকের টিবি (Cutaneous TB)
এ ধরনের টিবি রোগ শরীরের স্কিনে প্রভাব ফেলে। ত্বক থেকে এটি বিভিন্ন জায়গাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। Cutaneous TB অত্যন্ত বিরল এমনকি যেসব দেশে যক্ষার প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি সেসব দেশেও এই রোগ খুব একটা দেখা যায় না। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এটি হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, হাত, কনুই, হাঁটুর পিছনে, পশ্চাৎ দেশে এবং পায়ে।
লক্ষণ-
- ব্যথাহীন ক্ষত
- বেগুনি বা বাদামী রঙের ক্ষত
- আলসার
- ফোড়া
যক্ষা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
যক্ষ্মার রোগে চিকিৎসকরা ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। ৪ থেকে ৬ মাস ওষুধ খেতে হয়। নিয়মিত ওষুধ খেলে রোগটি ভালো হয়ে যায়। তবে এই রোগ নিরাময়ে ঘরোয়া কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন। আবার এই পরামর্শগুলো আগেই মেনে চললে যক্ষ্মা হওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে।
- প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে যক্ষ্মার লক্ষণ কমে যাবে।
- মধু ও মাখন খেতে পারেন। এটি শরীরের ক্ষয় রোধ করবে। সেই সঙ্গে যক্ষ্মা থেকে রেহাই দেবে। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম মাখনে ২৫ গ্রাম মধু মিশিয়ে খান। উপকার পাবেন।
- খাবার খাওয়ার পর লবঙ্গের গুড়ায় মধু মিশিয়ে খাবেন। এতে সুফল পাবেন।
- ২৫০ গ্রাম দুধে অশ্বত্থ পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। সকাল-সন্ধ্যা সেই দুধ পান করুন। যক্ষ্মা ভালো হয়ে যাবে।
- রসুনের রসের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে খান। রসুনের রস ফুসফুসকে মজবুত করে। যা যক্ষ্মার জন্য উপকারি।
যক্ষ্মা রোগীরা প্রতিদিন ১০০ বা ২০০ গ্রাম আঙুর খাবেন। - কলা হতে পারে যক্ষ্মা রোগীর মহাঔষধ। এটি রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যা যক্ষ্মা রোগ নিরাপয়ে সহায়ক।
যক্ষ্মা হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?
যাদের টিবি আছে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে থাকা ব্যক্তিদের জন্য এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এছাড়া যারা রোগীদের সেবা করে, যেসব হসপিটালে যক্ষা রোগের চিকিৎসা দেয় এবং যারা সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করে তারা এ রোগের ঝুঁকিতে আছেন।
এছাড়াও যারা ঝুঁকিতে আছেন –
- বয়ষ্ক মানুষ
- যারা ধূমপান করেন
- ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিরা
- যারা ইনজেকশনের মাধ্যমে ড্রাগ নেয়
- এইডস আক্রান্ত রোগী
- কেমোথেরাপী নেন যারা
যক্ষা বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের জন্য একটি মারাত্মক ব্যাধি। সময়মত এর চিকিৎসা না নেওয়া মানে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া। আজকের লেখার মাধ্যমে, টিবি রোগ কি, কেন হয়? টিবি বা যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ দেখা দিলে কি করবেন? এছাড়াও ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ এবং এই গুরুত্বপূর্ণ অর্গানকে সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে আপনাদের পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়েছে। যাতে করে এই রোগগুলো সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন হতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারেন।
যদি কেউ যক্ষায় আক্রান্ত হন, তাহলে আতঙ্কিত না হয়ে সুচিকিৎসা নিন, চিকিৎসায় যক্ষা ভাল হয়।
Last Updated on April 15, 2023
Leave A Comment