গ্যাস্ট্রিক বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুব সাধারণ একটি সমস্যা।গ্যাস্ট্রিক সমস্যা পেটে অস্বস্তি, বুক জ্বালা এবং গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনিয়মিত খাবার, বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া এবং মানসিক চাপ এর প্রধান কারণ। তবে গ্যাস্ট্রিক দূর করার কিছু সহজ উপায় আছে যা মেনে চললে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। 

সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম ও কিছু ঘরোয়া সমাধান গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিক দূর করা সহজ হয়। আসুন, বিস্তারিত জেনে নিই।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কি?

পাকস্থলীতে অতিরিক্ত Hydrochloric Acid উৎপন্ন হওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সৃষ্টি হয়।এতে পেটে খুব  অস্বস্তি হয়, যা বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাস ও হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে।গ্যাস্ট্রিক সাধারণত অনিয়মিত এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ঘুম না হওয়া, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও, দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সেবনের ফলেও এ সমস্যা হতে পারে।   

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কেন হয়?

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা মূলত পাকস্থলীতে অতিরিক্ত Hydrochloric অ্যাসিড উৎপাদনের কারণে হয়, যা হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে এবং বুক জ্বালাপোড়া, অম্বল ও গ্যাসের সমস্যার সৃষ্টি করে। 

বিভিন্ন কারণে এই অ্যাসিড উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে। যেমন-

১. অনিয়মিত খাবার গ্রহণ: অনিয়মিত খাবার খেলে পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণে অসামঞ্জস্য দেখা দেয়, যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। 

২. অতিরিক্ত মসলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার: ঝাল ও ভাজাপোড়া খাবার পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, যা হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে।  

৩. হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি সংক্রমণ: এই ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীর আস্তরণকে সংক্রমিত করে এবং অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ ঘটায়, যা গ্যাস্ট্রিক আলসার ও দীর্ঘমেয়াদী গ্যাস্ট্রাইটিসের কারণ হতে পারে।

৪. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা: মানসিক চাপের সাথেও গ্যাস্ট্রিকের সম্পর্ক রয়েছে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে কর্টিসল হরমোন বৃদ্ধি করে, যা হজম প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

৫. অতিরিক্ত চা-কফি ও কার্বনেটেড ড্রিংকস: ক্যাফেইন ও সোডা পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যাকে আরও তীব্র করে তোলে।

৬. দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা: খালি পেটে বেশি সময় থাকলে পাকস্থলীতে অ্যাসিড জমা হয় এবং এটি পাকস্থলীর আস্তরণে ক্ষতি করে, যা গ্যাস্ট্রিকের কারণ হতে পারে। 

৭. অ্যালকোহল ও ধূমপান: অ্যালকোহল ও ধূমপান পাকস্থলীর মিউকোসাল আস্তরণকে দুর্বল করে তোলে এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ায়।

৮. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: অনেক ব্যথানাশক ওষুধ (NSAIDs যেমন ইবুপ্রোফেন) পাকস্থলীর আস্তরণকে দুর্বল করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৯. অতিরিক্ত মিষ্টি ও প্রসেসড ফুড খাওয়া: প্রসেসড ফুড (চিপস, ক্যান ফুড) ও চিনি বেশি খাওয়া হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে এবং পাকস্থলীতে অস্বাভাবিক গ্যাস তৈরি করে।

১০. পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া: পানি হজম প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখে। পর্যাপ্ত পানি না খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ঘনত্ব বেড়ে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।

১১. অতিরিক্ত দ্রুত খাবার খাওয়া: খাবার সময় নিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া ভালো। খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে না খেলে হজমে সমস্যা হয় এবং পাকস্থলীতে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হয় যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করে। 

গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ 

গ্যাস্ট্রিক হলে পেটে অস্বস্তি ও ব্যথা অনুভূত হয়। নিচে গ্যাস্ট্রিকের কিছু সাধারণ লক্ষণ দেওয়া হলো:

  • অতিরিক্ত গ্যাস বের হওয়া 
  • পেটে জ্বালাপোড়া: বিশেষ করে খালি পেটে বা বেশি ঝাল-মশলা খাওয়ার পর।
  • পেট ব্যাথা: অতিরিক্ত এসিডের কারণে পেতে ক্রাম্প বা ব্যাথা হতে পারে। 
  • টক ঢেকুর ওঠা: বেশি গ্যাস জমলে ঘন ঘন ঢেকুর আসতে পারে।
  • পেট ফাঁপা, শক্ত বা ফোলাভাব: পাকস্থলীতে বেশি গ্যাস জমে পেট ফোলাভাব লাগতে পারে।
  • বমি বমি ভাব: অতিরিক্ত অ্যাসিডের কারণে অনেক সময় বমি আসার অনুভূতি হতে পারে।
  • অরুচি: দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিক থাকলে ক্ষুধামন্দা হতে পারে।
  • মাথাব্যথা ও দুর্বলতা: গ্যাস্ট্রিক দীর্ঘদিন থাকলে মাথাব্যথা ও শরীরে ক্লান্তি লাগতে পারে
  • বুক জ্বালা বা এসিড রিফ্লাক্স: অনেক সময় অ্যাসিড উপরে উঠে বুকের মধ্যে জ্বালাপোড়া করে।

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ২১ টি ঘরোয়া উপায়

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। নিচে ২১ টি কার্যকর ঘরোয়া উপায় এবং গ্যাস্ট্রিক দূর করার বেশ কিছু উপকারী  খাবার উল্লেখ করা হলো:

১। গরম পানি: খাবারের আগে ও পরে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে।

২। আদা চা: আদা ভালো হজমে সাহায্য করে ও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমায়। আদা চা খাওয়ার সময় কাচা আদা চিবিয়ে খেলে পেটের ফোলাভাব, বমিভাব ও গ্যাসের সমস্যা কমে। 

৩। সজনে পাতার রস বা চা: সজনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান পেটের জ্বালা পোড়া কমায়।এতে থাকা ফাইবার ও এনজাইম হজমে সাহায্য করে, ফলে গ্যাস কমে। এছাড়াও সজনে পাতার অ্যালকালাইন বৈশিষ্ট্য পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড কমিয়ে দেয়, যা গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম কারণ।  

৪। দুধ ও মধু পান করুন: ঠান্ডা দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি কমে ফলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়।

৫। খাবার ধীরে ধীরে খান: দ্রুত খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ে, তাই ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান।

৬। কলা: কলা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে ও অ্যাসিড কমায়।

৭। তুলসী পাতা: তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে এটি গ্যাস্ট্রিকের জ্বালাপোড়া ও গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।

৮। লেবু পানি: খালি পেটে হালকা গরম লেবু পানি পান করলে পেটের অ্যাসিডের পরিমাণ কমে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় বেশ আরাম পাওয়া যায়। 

৯। জিরা পানি: গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় জিরা পানি বেশ উপকারী এবং দ্রুত আরাম দেয়। এটি হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং পেটে জমে থাকা গ্যাস কমায়।

১০। দারুচিনি চা: দারুচিনি হজমশক্তি বাড়ায় ও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমায়।

১১। শসা: শসা পেট ঠান্ডা রাখে ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়।

১২। পুদিনা পাতার রস: এটি হজমে সহায়তা করে ও পাকস্থলীর প্রদাহ কমিয়ে গ্যাস্ট্রিকে আরাম দেয়।

১৩। এলাচ: এলাচ চিবিয়ে খেলে পাকস্থলীর গ্যাস দূর হয় ও হজম প্রক্রিয়া ভালো থাকে।

১৪। বেলের শরবতঃ গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমায় এবং হজম ভালো করে।

১৫। তেঁতুলের শরবত: এটি খাবার হজম করতে সাহায্য করে ও গ্যাস্ট্রিক কমায়।

১৬। দই: দইতে প্রোবায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা হজমে সাহায্য করে ও গ্যাস্ট্রিক কমায়। এছাড়াও এটি পেট ঠাণ্ডা করে ফলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় বেশ আরাম পাওয়া যায়। 

১৭। চর্বি জাতীয় ও ভাজাপোড়া খাবার কম খান: অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্যাস্ট্রিকের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি। বেশি তেল ও মসলাযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক বাড়ায়, তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় এগুলো এড়িয়ে চলুন।

১৮। অ্যালোভেরা জুসঃ এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যালকালাইন বৈশিষ্ট্য পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড কমিয়ে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা উপশমে সাহায্য করে। এটি হজমশক্তি উন্নত করে এবং অন্ত্রের গ্যাস নির্গমনে সহায়তা করে, ফলে পেটের অস্বস্তি কমে।

১৯। বেশি পানি পান করুন: পানি হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং পেটে জমে থাকা গ্যাস নির্গমন সহজ করে, যা পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি কমায়। এছাড়া, এটি অন্ত্রে জমে থাকা গ্যাসকে দ্রবীভূত করে স্বাভাবিকভাবে বের হতে সাহায্য করে। তাই গ্যাস্ট্রিক থেকে বাঁচতে বেশি বেশি পানি পান করুন। 

২০।মেথি বীজ: পাকস্থলীর আলসার ও গ্যাস্ট্রিক কমায়।

২১।পেঁপেঃ এনজাইম সমৃদ্ধ, যা ভালো হজমে সহায়ক।

খুব দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায় আদা

গ্যাস্ট্রিক সমস্যার দ্রুত সমাধানে কিছু কার্যকরী ঘরোয়া ও সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে।

ঘরোয়া প্রতিকার:

  • জিরা ও আদার রস: হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে দ্রুত গ্যাস কমাতে কার্যকর 
  • গরম পানি পান: গরম পানি পাকস্থলীতে থাকা অতিরিক্ত অ্যাসিডকে নিরপেক্ষ করে গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় দ্রুত আরাম দেয়।

সাধারণ চিকিৎসা:

  • এন্টাসিড (Ranitidine, Omeprazole)
  • Nux Vomica, Carbo Veg (হোমিওপ্যাথি)

গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধের উপায়

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়। সমস্যা হওয়ার পর না ভুগে আগেই সতর্ক থাকা উচিত যেন সমস্যাটাই না হয়। নিচের উপায়গুলো মেনে চললে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

১। নিয়মিত খাবার গ্রহণ করুন: সময়ের খাবার সময়ে গ্রহণ করুন। সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবার নির্দিষ্ট সময়ে খান। এতে পেটে অতিরিক্ত এসিড তৈরি হয়না। 

২। পরিমাণ মত খাবার খানঃ অনেক খাবার একসাথে না খেয়ে বরং পরিমাণ মত খাবার গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে ঘন ঘন খাবার খান অল্প অল্প করে। এতে পেটের উপর চাপ কমে এবং গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে সাহায্য করে। 

৩। অতিরিক্ত মসলা ও ঝাল কম খান: অতিরিক্ত মসলা পাকস্থলীর অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

৪। অতিরিক্ত চা-কফি এড়িয়ে চলুন: ক্যাফেইন অ্যাসিড রিফ্লাক্স বাড়াতে পারে। প্রতিদিন একজন মানুষ ২০০-৩০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন বা ১-২ কাপ কফি খেতে পারেন অতিরিক্ত গ্যাস এড়ানোর জন্য। 

৫। প্রচুর পানি পান করুন: হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

৬। ভাজাপোড়া ও ফাস্ট ফুড পরিহার করুন: চর্বিযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়।

৭। ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করুন: এগুলো পাকস্থলীর অ্যাসিড ক্ষরণ বাড়ায়।

৮। পর্যাপ্ত ঘুম ও স্ট্রেস কমান: মানসিক চাপ গ্যাস্ট্রিকের অন্যতম কারণ।

৯। নিয়মিত ব্যায়াম করুন: হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখে।

১০। সঠিকভাবে খাবার খান: খাবার ভালোমত চিবিয়ে খান। এছাড়াও খাবার খাওয়ার সময় কথা বলা এড়িয়ে চলুন। 

 

পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর ওষুধ ও চিকিৎসা

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ওষুধ

পেটে গ্যাসের ব্যথা সাধারণত হজমজনিত সমস্যা, অ্যাসিডিটির বৃদ্ধি বা অন্ত্রের গ্যাস জমার কারণে হয়ে থাকে। চিকিৎসার জন্য সাধারণত নিম্নলিখিত ওষুধ ব্যবহৃত হয়, যা বাংলাদেশে সহজলভ্য।

১. অ্যান্টাসিড (Antacids)

এই ওষুধগুলো পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। বাংলাদেশে ম্যাগালড্রেট, অ্যালুমিনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড সহজলভ্য (Katz et al., 2013)।

২. প্রোটন পাম্প ইনহিবিটার (PPI)

এই ওষুধগুলো পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন বন্ধ করে, যা দীর্ঘমেয়াদী গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় কার্যকর। বাংলাদেশে ওমিপ্রাজল (Omeprazole), ইসোমিপ্রাজল (Esomeprazole), ল্যান্সোপ্রাজল (Lansoprazole) পাওয়া যায় (Moayyedi & Talley, 2006)।

৩. এইচ-২ রিসেপ্টর ব্লকার (H2 Blockers)

এটি পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। বাংলাদেশে ফ্যামোটিডিন (Famotidine) সহজলভ্য, তবে রেনিটিডিন (Ranitidine) বর্তমানে কম ব্যবহৃত হয় (Katz et al., 2013)।

৪. অ্যান্টিফ্ল্যাটুলেন্ট (Antiflatulents)

গ্যাসের বুদবুদ ভেঙে দ্রুত গ্যাস নির্গমন সহজ করে। বাংলাদেশে সিমেথিকন (Simethicone) পাওয়া যায় (Moayyedi & Talley, 2006)।

গ্যাস্ট্রিকের জন্য কার্যকরী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

হোমিওপ্যাথিতে গ্যাস্ট্রিক নিরাময়ের জন্য Nux Vomica, Carbo Vegetabilis, Lycopodium, Pulsatilla ইত্যাদি ওষুধ ব্যবহৃত হয়। Nux Vomica অতিরিক্ত মসলা বা অ্যালকোহল গ্রহণজনিত গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় কার্যকর, আর Lycopodium হজমজনিত দুর্বলতায় সহায়ক। 

তবে সঠিক ওষুধ ও মাত্রা নির্ধারণে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয়? 

গ্যাস্ট্রিক আলসার মূলত হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি (H. pylori) ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ (NSAIDs) যেমন আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিন অতিরিক্ত সেবনের কারণে হয়ে থাকে। এসব কারণে পাকস্থলীর মিউকাস স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে অ্যাসিডের প্রভাবে আলসার তৈরি হয়। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, ধূমপান, অ্যালকোহল এবং মানসিক চাপও গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঝুঁকি বাড়ায়। দীর্ঘস্থায়ী অ্যান্টাসিডের ব্যবহার ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। (Mayo Clinic, 2024)

গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং H. pylori দূর করার উপায়

গ্যাস্ট্রিক আলসার নিরাময়ের জন্য প্রোটন পাম্প ইনহিবিটার (PPI) যেমন ওমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল ব্যবহার করা হয়, যা পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন কমায়। এইচ. পাইলোরি সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক (Amoxicillin, Clarithromycin) প্রয়োজন হয়। 

NSAIDs পরিহার করা উচিত, কারণ এগুলো গ্যাস্ট্রিক আলসার বাড়িয়ে তোলে। ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়ানো এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস গ্যাস্ট্রিক আলসার নিরাময়ে সহায়ক।

গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যথা কেন হয়? 

গ্যাস্ট্রিক (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা) থেকে পিঠে ব্যথা হওয়ার মূল কারণ হলো পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণ এবং হজমজনিত জটিলতা। কিছু সম্ভাব্য কারণ নিচে দেওয়া হলো—

অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও গ্যাসের চাপ:

  • অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হলে এটি পাকস্থলীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যা বুক, পেট এবং পিঠের ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • গ্যাস্ট্রিক থেকে  অ্যাসিড রিফ্লাক্স হলে খাবারনালি ও আশেপাশের নার্ভ উত্তেজিত হয়ে ব্যথা অনুভূত হয়।

পাকস্থলীর আলসার:

  • দীর্ঘদিনের গ্যাস্ট্রিকের ফলে গ্যাস্ট্রিক আলসার (পাকস্থলীর ঘা) তৈরি হতে পারে, যা পিঠ পর্যন্ত ব্যথা ছড়াতে পারে।
  • বিশেষ করে যদি আলসার বেশি গভীরে চলে যায়, তাহলে এটি পিঠে ব্যথার কারণ হতে পারে।

গ্যাস ও ফুলাভাব:

  • গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় অতিরিক্ত গ্যাস অন্ত্র ও পাকস্থলীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে, যা পিঠের নিচের অংশে বা কাঁধের আশেপাশে ব্যথা তৈরি করতে পারে।

অগ্ন্যাশয় (Pancreas) ও পিত্তথলির সমস্যা:

  • পিত্তথলির পাথর বা অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ (প্যানক্রিয়াটাইটিস) গ্যাস্ট্রিকের সাথে পিঠের ব্যথার অনুভূতি দিতে পারে।

খাবার ও জীবনযাত্রার কারণ:

  • মশলাদার খাবার, অতিরিক্ত ক্যাফেইন, ধূমপান বা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে গ্যাস্ট্রিক বাড়তে পারে এবং পিঠের ব্যথা হতে পারে।
  • দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা ভুল ভঙ্গিমায় শোয়া পিঠের ব্যথাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

FAQ 

১। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে পরবর্তীতে কি কি ঝুঁকি হতে পারে?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গ্যাস্ট্রিক সমস্যা খুব গুরুতর কোন সমস্যা নয়। তবে দীর্ঘদিন অবহেলা করার কারণে এ থেকে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে। যেমন- 

    • গ্যাস্ট্রিক আলসার (পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি)
    • অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও GERD (খাবারনালিতে জ্বালাপোড়া)
  • অন্ত্রের প্রদাহ ও সংক্রমণ
    • অ্যানিমিয়া (রক্তশূন্যতা, ভিটামিন বি১২-এর অভাব)
  • ওজন কমে যাওয়া ও অপুষ্টি
  • পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি (দীর্ঘমেয়াদে অবহেলা করলে)

২। গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত? 

গ্যাস্ট্রিক দূর করতে উপড়ে উল্লিখিত ঘরোয়া উপায়গুলো মেনে চললে উপকার পাওয়া যাবে। তবে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কেননা দীর্ঘদিন অবহেলায় গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকে জটিল স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকতে পারে।

এছাড়াও গর্ভাবস্থায় কিংবা বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বেশি হলে নিজে ওষুধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।  

৩। গ্যাস্ট্রিকে বুকে ব্যাথা দূর করার উপায় কি? 

দ্রুত রিলিফ চাইলে গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুকে ব্যথার চিকিৎসায় প্রথমে অ্যান্টাসিড বা প্রোটন পাম্প ইনহিবিটার (যেমন ওমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল) ব্যবহার করা যেতে পারে, যা পাকস্থলীর অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া, সিমেথিকনযুক্ত ওষুধ গ্যাস নির্গমনে সহায়ক। ফ্যামোটিডিন বা এইচ-২ ব্লকার অ্যাসিড উৎপাদন কমাতে ব্যবহৃত হয়। 

চিকিৎসার পাশাপাশি, মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলা, খাবারের পর সোজা থাকা এবং ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি বুকে ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র হয়, তবে হার্টের সমস্যার সম্ভাবনা বিবেচনা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

৪। গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় কি?

গর্ভাবস্থায় গ্যাস্ট্রিক কমানোর জন্য বারবার অল্প করে খাবার খান, মসলাযুক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন, বেশি পানি পান করুন, ধীরে ধীরে খাওয়া ও ভালোভাবে চিবিয়ে খান। হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি এবং উঁচু বালিশে ঘুমানো সহায়ক। 

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে সেফ অ্যান্টাসিড নেওয়া যেতে পারে।

৫। পেটে গ্যাস হলে কি ওষুধ খাব? 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পেটে গ্যাস কমানোর জন্য এন্টাসিড (Ranitidine, Omeprazole, Pantoprazole) বা সিমেথিকোনযুক্ত ওষুধ নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, হোমিওপ্যাথিতে Nux Vomica, Carbo Veg, Lycopodium কার্যকর। তবে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

৬। আদা খেলে কি গ্যাস কমে?

হ্যাঁ, আদা প্রাকৃতিকভাবে গ্যাস কমাতে সহায়ক। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, অন্ত্রের গ্যাস কমায় ও পাকস্থলীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। গরম পানিতে আদা মিশিয়ে চা হিসেবে খেলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

৭। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক হলে করণীয় কী?

অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক হলে গরম পানি পান করুন, হালকা খাবার খান, ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার এড়ান। তাত্ক্ষণিক সমাধানের জন্য এন্টাসিড (Ranitidine, Omeprazole) বা সিমেথিকোন নিতে পারেন।

৮। গ্যাসে পেট ভারী হয়ে থাকলে বা পেটে গরগর শব্দ হলে করণীয় কি? 

  • গরম পানি বা আদা চা পান করুন – হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে।
  • জিরা বা মৌরির পানি খান – গ্যাস নির্গমন সহজ হবে।
  • হালকা হাঁটাহাঁটি করুন – অন্ত্রের গ্যাস বের হতে সাহায্য করবে।
  • এন্টাসিড (Ranitidine, Omeprazole) বা সিমেথিকোন প্রয়োজনে নিতে পারেন।

৯। গ্যাসের সমস্যা কমাতে বাচ্চারা কি জিরা পানি খেতে পারবে? 

বাচ্চাদের পেটের গ্যাস দূর করতে জিরা ভেজানো পানি উপকারী হতে পারে। জিরা (Cuminum cyminum) হজমে সহায়তা করে এবং গ্যাস কমাতে পারে। তবে, ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের জন্য শুধুমাত্র মায়ের দুধ বা ফর্মুলা দুধই সুপারিশ করা হয়। ৬ মাসের বেশি বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে, জিরা পানি দেওয়ার আগে শিশুর বয়স, ওজন এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত।বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া সর্বদা ভালো।

১০। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় গ্যাস কমানোর জন্য জিরা বা আদা পানি কি খাওয়া যাবে?

গর্ভাবস্থায় গ্যাস কমানোর জন্য জিরা বা আদা পানি গ্রহণ সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

জিরা পানি: সীমিত পরিমাণে জিরা সেবন সাধারণত নিরাপদ হলেও, গর্ভাবস্থায় জিরা-পানি পান করা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ অতিরিক্ত জিরা গ্রহণ গলা-বুক জ্বালা বা শারীরিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

আদা পানি: আদা বমি বমি ভাব কমাতে সহায়ক এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিরাপদ বলে বিবেচিত হয়। তবে, অতিরিক্ত আদা খেলে পেটে অস্বস্তি, গ্যাস, অম্বল বা ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে। এছাড়া, এটি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। 

সুতরাং, গর্ভাবস্থায় গ্যাস কমানোর জন্য জিরা বা আদা পানি গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

১১।গ্যস্ট্রিকের সমস্যায় কীভাবে সজনে পাতার রস খাবেন?

  • পদ্ধতি ১: কিছু তাজা সজনে পাতা ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন।
  • পদ্ধতি ২: সজনে পাতার চা বানিয়ে দিনে ১-২ বার পান করুন।

১২। গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটি ও অ্যাসিড রিফ্লাক্স কি একি সমস্যা? 

না। দুটো একি সমস্যা নয়। তবে সম্পর্কিত। 

গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটি: এটি তখন ঘটে যখন পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপন্ন হয়। ফলে পেটে জ্বালাপোড়া, অম্লভাব ও হজমের সমস্যা হতে পারে।

অ্যাসিড রিফ্লাক্স: এটি তখন ঘটে যখন পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে (esophagus) উঠে আসে। এর ফলে বুক জ্বালাপোড়া (heartburn), টক ঢেকুর এবং গলা জ্বালার মতো সমস্যা দেখা যায় (Mayo Clinic, 2024)

সহজ ভাষায়, গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটি মানে পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি হওয়া, আর অ্যাসিড রিফ্লাক্স মানে সেই অ্যাসিড উপরে উঠে এসে অস্বস্তি তৈরি করা।

১৩। গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় দীর্ঘদিন গ্যাসের ওষুধ খেলে কি সমস্যা হতে পারে?

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন গ্যাসের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। কেননা এতে হাইডোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন হওয়া ব্যাহত হয়। ফলে শাকসবজি ও অন্যান্য খাবারের সাথে পেটের মধ্যে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে পেটের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নষ্ট করে এবং পেটে গ্যাস, বদহজম ও ডায়রিয়ার মত সমস্যা তৈরি করে। কেননা, তখন খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলো মারার জন্য পেটের হাইড্রোক্লোরিক এসিড থাকেনা। তাই অপ্রয়োজনে লম্বা সময় গ্যাসের ওষুধ সেবন না করে বরং গ্যাস্ট্রিক প্রতরোধের উপায়গুলো মেনে চলা উচিত। 

১৪। শাক সবজির মত উপকারী খাবার খেলেও পেটে গ্যাস হয় কেন?

এ সমস্যা সকলের ক্ষেত্রে হয়না। বরং তাদের ক্ষেত্রে হয় যাদের পেটে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হাইডোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন হয়না। এটা হতে পারে দীর্ঘদিন গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য। 

শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে বাজে ব্যাকটেরিয়া থাকে। হাইড্রোক্লোরিক এসিডের কাজ হল এই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে পেটের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখা। 

কিন্তু লম্বা সময় গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার ফলে পেটে হাইড্রোক্লোরিক এসিড উৎপন্ন ব্যাহত হয়, ফলে শাকসবজি তে থাকা ব্যাকটেরিয়া পেটের পরিবেশ নষ্ট করে পেটের গ্যাস, বদহজম এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যা সৃষ্টি করে। 

তাই, যাদের বেশি বেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়, তাদের উচিত গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো মেনে চলা, খাবার সময় নিয়ে চিবিয়ে খাওয়া, মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকা, ভালো ঘুমানো এবং শারীরিক ব্যায়াম করা। 

 

References

Katz, P. O., Gerson, L. B., & Vela, M. F. (2013). Guidelines for the diagnosis and management of gastroesophageal reflux disease. The American Journal of Gastroenterology, 108(3), 308–328. https://doi.org/10.1038/ajg.2012.444

Moayyedi, P., & Talley, N. J. (2006). Gastro-oesophageal reflux disease. The Lancet, 367(9528), 2086–2100. https://doi.org/10.1016/S0140-6736(06)68932-0

Mayo Clinic. (2024). Peptic ulcer – Symptoms and causes. Retrieved from https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/peptic-ulcer/symptoms-causes/syc-20354223

Mayo Clinic. (2024). Gastroesophageal reflux disease (GERD) – Symptoms and causes. Retrieved from https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/gerd/symptoms-causes/syc-20361940

Last Updated on February 27, 2025