জ্বর (Fever) নিজে কোনো রোগ নয় বরং ১টি সাধারণ উপসর্গ মাত্র। অর্থাৎ বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবে জ্বর হয়ে থাকে। জ্বর দেখা দিলে সাধারণত কেউ চিকিৎসকের কাছে যেতে চায় না কিন্তু কখনো কখনো জ্বর জটিল কোনো রোগের সংকেত বহন করে থাকে। আবার যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের অভাবে তা কারো কারো ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হয়েও দাঁড়াতে পারে।
জ্বর কেন হয় এবং জ্বর হলে করণীয় কি তা এই অনুচ্ছেদ থেকে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। সেই সাথে জ্বর কিভাবে মাপতে হয়, জ্বরের ওষুধ, জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম এবং জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত সেই বিষয়গুলোও এই অনুচ্ছেদে খুব সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
Table of Contents
জ্বর কেন হয়?
মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এই মাত্রা ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৭ থেকে ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। (Mayo Clinic, 2020) কোনো কারণ বশত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হলে আমরা তাকে জ্বর বলে থাকি। সাধারণত জ্বরের কারণ গুলো হলোঃ
- যেকোনো ইনফেকশন, বিশেষ করে পুঁজ তৈরি কারক ইনফেকশন যেমন- ফোঁড়া, ক্ষতস্থানে পচন ইত্যাদি কারণে জ্বর হতে পারে
- ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত প্রদাহ। যেমন- সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, হুপিংকাশি, ডেঙ্গু ইত্যাদিতে জ্বর হয়
- আঘাত জনিত ব্যথা, জয়েন্ট পেইন, হার্ট এবং বাতের সমস্যা
- যেকোনো অর্গানের প্রদাহজনিত রোগ, যেমন- ব্রেইনের সমস্যা, কিডনির সমস্যা, হেপাটাইটিস
- অটোইমিউন রোগ, যেমন- এসএলই (SLE- Systemic lupus erythematosus), ইমুনোলজিক্যাল রিঅ্যাকশন
- যে কোন টিস্যু বা অর্গান এর ক্যান্সার (Tumor / cancer)
- দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা ক্রনিক ইনফেকশন, যেমন- যক্ষ্মা রোগ
- মহিলা ও পুরুষদের জননতন্ত্রের প্রদাহে জ্বর হতে পারে। যেমন- প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রস্রাবের নালিতে ইনফেকশন, মেয়েদের অ্যান্ডোমেট্রাইটিস, ছেলেদের প্রস্টেটাইটিস ইত্যাদি
- পরজীবী ঘটিত রোগ, যেমন- ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ট্রিপোনোসোমা (Trypanosoma) ইত্যাদি
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জ্বর হলে কি হয়?
শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায়ই জ্বর হয়ে থাকে। আর শিশুদের বেশির ভাগ জ্বরই ভাইরাস-সংক্রমণে হয়। খুব ছোট্ট শিশুর জ্বর হলে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, এদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম, তাছাড়া তাকে টিকা দিয়ে সুরক্ষিত রাখাও হয়ে ওঠেনা। এছাড়া অন্যান্য অসুস্থতার লক্ষণও তেমন বোঝা যায় না। এই বয়সে জ্বরের জন্য জিবিএম, ই.কোলাই, এইচ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মারাত্মক রোগজীবাণু দায়ী হতে পারে। ৩-৩৬ মাস বয়সী শিশুরা সাধারণত স্ট্রেপটো নিউমোনিয়া, নাইসেরিয়া মেনিনজাইটিডিস, সালমোনেলা, স্টেফাইলো ইত্যাদি জীবাণুর মাধ্যমে আক্রান্ত হতে পারে।
ঠান্ডা-সর্দি, কান পাকা, সাইনোসাইটিস, ব্রনকিওলাইটিস, নিউমোনিয়া, টনসিলাইটিস, দাঁতের অসুখ, মেনিনজাইটিস, আন্ত্রিক অসুখ, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, গিঁটের সংক্রমণ, রক্তে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি, টিকাদান-পরবর্তী জ্বর, ভাইরাসজনিত অসুখ—চিকেন পক্স, হাম, ক্যানসার ইত্যাদি কারণে শিশুদের জ্বর হতে পারে।
জ্বরের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো কি কি?
জ্বরের ক্ষেত্রে উচ্চ তাপমাত্রার পাশাপাশি আরো কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যেতে পারে। যেমনঃ
- শীতবোধ
- ঘাম হওয়া
- মাথাব্যথা
- শরীর ব্যথা
- অবসন্নতা
- ক্ষুধামন্দা
- ঘুম ঘুম ভাব
- মনোযোগ দিতে না পারা ইত্যাদি
জ্বরের সময় তাপমাত্রা কিভাবে পরিমাপ করতে হয়?
জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে আপনি নিজে নিজেই জ্বর কত ডিগ্রি তা মেপে দেখতে পারবেন। কারণ আমাদের সবার বাসাতেই থার্মোমিটার থাকে যার সাহায্যে সহজেই শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা যায়। জ্বর হলে সাধারণত জিহ্বার নিচে, পায়ুপথে বা বাহুর নিচে (Armpit) থার্মোমিটার রেখে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিশেষ নিয়ম নির্দেশনা রয়েছে। যেমনঃ (Cunha, 2022)
✓ বাহুর নিচের তাপমাত্রা সাধারণত ০.৫ থেকে ১ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত কম থাকে। আর তাই এখানে মাপার পর থার্মোমিটারে যে তাপমাত্রা দেখা যাবে তার সাথে ১ ডিগ্রি যোগ করে জ্বর নির্ণয় করতে হবে।
✓ তেমনিভাবে পায়ুপথে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। আর তাই এখান থেকে ১ ডিগ্রি বিয়োগ করতে হবে।
✓ জিহ্বার নিচে মাপার ক্ষেত্রে কোনো যোগ বিয়োগ করার দরকার নেই। তবে জ্বর মাপার ১৫ মিনিট আগে থেকে গরম অথবা ঠান্ডা খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
জ্বর হলে করণীয়
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জ্বর কয়েকদিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। জ্বর অল্প দিনের হলে একে আমরা সাধারণত ভাইরাল জ্বর বলি। একটু ঠান্ডা, কাশির কারণে এমন জ্বর হতে পারে। জ্বর দীর্ঘমেয়াদি না হলে, ভয়ের কোনো কারণ নেই- জ্বর এমনিতেই কমে যাবে। আবার জ্বর ১০০ ডিগ্রীর ওপর হলে শিশুকে জ্বর কমানোর ওষুধ খাওয়াতে হবে।
জ্বর হলে প্রাথমিকভাবে স্পঞ্জিং করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে, পুরো শরীর ভেজা নরম কাপড় অথবা তোয়ালে দিয়ে একটানা কয়েকবার আলতো করে মুছে দিলেই শরীরের তাপমাত্রা বেশ কমে যায় এবং আক্রান্ত রোগী ভালো অনুভব করে। এজন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করতে হবে। কোনোভাবেই খুব ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা ঠিক হবে না। বাচ্চাকে বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। বাচ্চার প্রস্রাব হচ্ছে কি না সেটা খেয়াল করতে হবে। শিশুরা জ্বরের সময় ঠিকমত খেতে চায় না। বাচ্চা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছে কি না, সেদিকে খেয়াল করতে হবে।
৫-৭ দিনের মধ্যে যদি শিশুর কাশি বা জ্বর না কমে এবং জ্বর চলাকালীন সময়ে যদি শিশুর বেশি বেশি বমি বা পাতলা পায়খানা হয়, খিঁচুনি হয়, শরীরে গুটি বা দানা দেখা দেয়, অনবরত কাঁদতে থাকে, তাহলে দেরি না করে অবশ্যই একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
জ্বর হলে কি খাওয়া উচিত? (ওষুধ)
বড়দের ক্ষেত্রে, সাধারণ জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই ঠিক হয়ে যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে একজন শিশু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ঔষধ ব্যবহার করা যাবে না। জ্বরের ঔষধ বাজারে বিভিন্ন নামে কিনতে পাওয়া যায়। যেমনঃ
- নাপা (Napa)
- এইচ (Ace)
- Naproxen ইত্যাদি
জ্বর কমানোর জন্য এসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। কারণ তাতে রোগ লক্ষণ আরো জটিলতর হতে পারে। তবে জ্বরের সাথে মাথাব্যথা বা সর্দি কাশি থাকলে ওটিসি গ্রুপের ওষুধ (যা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যায়) হিসেবে যে সমস্ত ওষুধ গুলো খাওয়া যেতে পারেন-
✓ জ্বর মাথা ব্যাথার ঔষধের নাম- নাপা এক্সট্রা (Napa extra) যার মধ্যে থাকা ক্যাফেইন মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
✓ জ্বর সর্দি কাশির ঔষধের নাম- ফেক্সোফেনাডিন (Fexofenadine) যা এলার্জি জনিত ঠান্ডা দূর করে। এছাড়াও কাশির জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ফার্মেসি থেকে যে কোনো একটি কাশির সিরাপ কিনে খাওয়া যেতে পারে। তবে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় ৫-৭ দিন খেতে হবে। জ্বরের এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এর নাম হলো- Azithromycin, Phenoxymethyl Penicillin, Cefixime, Ciprofloxacin, Doxycycline ইত্যাদি।
জ্বর হলে কি খাবার খাওয়া উচিত?
জ্বর হলে সাধারণত খাবারের প্রতি অনীহা দেখা যায়। তবে তাই বলে না খেয়ে থাকলে চলবে না বরং এই সময়ে নিয়মিত ওষুধ সেবনের পাশাপাশি খাদ্যের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা উচিত। বিশেষ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ক্যালরি সরবরাহ করে এবং সেই সাথে খেতেও সুস্বাদু এমন খাবার গুলো বেশি করে খেতে হবে। যেমনঃ
- আপনার পছন্দমতো প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খেতে পারেন যার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে
- শরীরে পানির চাহিদা মেটাতে খাবার পানি পান করার পাশাপাশি ফলের রস, শরবত ও চা খেতে পারেন
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার প্রচুর ক্যালরি সরবরাহ করে এবং অসুস্থতার ফলে কোষের ক্ষতিসাধন রিপেয়ার করে। ভালো মানের প্রোটিন হলো মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, চিকেন স্যুপ ইত্যাদি।
জ্বর হলে কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হয়?
ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ যদি অতি মাত্রায় বেড়ে যায় তখন সেটিকে চিকুনগুনিয়া অথবা ডেঙ্গু মনে করা হয়। যদি ডেঙ্গু জ্বর হয়, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে জ্বর অনেক বেড়ে যায়, শরীর লালচে হয়ে যায়, মাংসপেশিতে ব্যাথা, গিঁটে ব্যাথা, চাপ দিলে হাতে দাগ বসে যায়।
সাধারণ ভাইরাস জ্বরে গিঁটে ব্যাথা অনেক কম হয়। যদি চিকুনগুনিয়া হয় তাহলে গিঁটে তীব্র ব্যাথা হবে এবং মাংসপেশিতেও ব্যাথা হবে। গিঁটের মাঝে ব্যাথা বেশি হবে। সাধারণ প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধে এই জ্বর কমে না। মূলত সাধারণ জ্বরের চেয়ে জ্বর যখন বেশি মনে হবে (১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি) এবং অন্যান্য লক্ষণগুলো তীব্র আকারে প্রকাশ পাবে, তখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী।
ডাক্তাররা জ্বর কিভাবে শনাক্ত করেন?
জ্বরের কারণ নির্ণয় করার জন্য বর্তমানে অনেক রকম প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা রয়েছে। লক্ষণ ও উপসর্গ দেখে ডাক্তার প্রয়োজন মত রক্তের কিছু সাধারণ পরীক্ষা-নীরীক্ষা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও রোগীর উপসর্গের উপর ভিত্তি করে কিছু বিশেষ পরীক্ষা যেমন Widal test, Febrile antigen, CSF (Cerebrospinal fluid) এবং অন্যান্য যেমন- ফাইলেরিয়া, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মার জন্য পিসিআর, কালচার সেনসিটিভিটি, এএফবি, ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের জন্য এফএনএসি সাইটোলজি, লিউকেমিয়া প্যানেল, লিমফোমা ও বায়োপসি ইত্যাদি করিয়ে জ্বরের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
জ্বরে কি কি জটিলতা হতে পারে?
বাচ্চাদের জ্বরের কারণে অনেক রকম সমস্যা হতে পারে । জ্বরের সঙ্গে যদি খিঁচুনি থাকে তবে এ অবস্থাকে বলা হয় জ্বরজনিত খিঁচুনি বা ফিব্রাইল সিজর। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে শতকরা ২-৪ জন এ ধরনের সমস্যায় ভোগে।
তাই শিশুর যদি জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি হয়, তবে শিশুকে একপাশে কাত করে শুইয়ে দিন। মুখে কিছু দেবেন না, এমনকি পানিও না। পাঁচ মিনিটের বেশি সময় খিঁচুনি হলে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তার দেখাতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। পাঁচ মিনিটের কম সময় খিঁচুনি হলে আপাতত ভয়ের কিছু নেই, তবে পরবর্তী সময়ে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
জ্বর ঠোসা
জ্বরের সাথে অনেক সময় মুখে বিশেষত ঠোঁটের কিনারায় একধরনের ফোস্কা দেখা যায় যাকে জ্বর ঠোসা বা Fever blister বলা হয়। সাধারণত এটি ভাইরাস জনিত কারণে হয়ে থাকে এবং তেমন কোনো জটিলতার সৃষ্টি করে না। বরং পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যেই আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। অন্যথায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
"জ্বর কমানোর দোয়া"
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জ্বরের দোয়া হিসেবে নিচের দোয়াটি বেশ প্রসিদ্ধ।
উচ্চারণ: ‘বিসমিল্লাহিল কাবির, আউজুবিল্লাহিল আজিম, মিন শাররি কুল্লি ইরকিন নায়্যার, ওয়া মিন শাররি হাররিন নার।’
অর্থ: ‘মহান আল্লাহর নামে, দয়াময় আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই, শিরা-উপশিরায় শয়তানের আক্রমণ থেকে। শরীরের আগুনের উত্তাপের মন্দ প্রভাব থেকে।’
জ্বর কি প্রতিরোধ করা যায়?
জ্বর অতি সাধারণ রোগ। আমরা একটু সাবধান হলে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।
✓ বাচ্চাদের খাবার আগে ও পরে, বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করান, এতে অসুখ অনেক কমে যাবে।
✓ হাঁচি বা কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করুন।
✓ বাইরে থেকে এসে এবং কোনো খাবার জিনিসে হাত দেওয়ার আগে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।
✓ নিয়মিত নখ পরিষ্কার করুন এবং নখে যেন ময়লা না জমে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
✓ নিরাপদ পানি পান করুন।
✓ বাহিরের অস্বাস্থ্যকর খাবার যথাসম্ভব পরিহার করুন এবং শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলুন
References
Cunha, J. P. (2022, 3 10). Fever. Retrieved from MedicineNet: https://www.medicinenet.com/aches_pain_fever/article.htm
Mayo Clinic. (2020, may 13). Fever. Retrieved from mayoclinic: https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/fever/symptoms-causes/syc-20352759
Last Updated on April 16, 2023
Leave A Comment