হার্ট অ্যাটাক (Heart attack) একটি নীরব ঘাতক ব্যাধি যার জন্য জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। অন্যথায় তা অকাল মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনার ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে কিনা তা আগে থেকে জানা থাকলে কিছু বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে জটিলতা থেকে বাঁচা সম্ভব।

এই অনুচ্ছেদে মূলত হার্ট এটাকের লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা আপনাকে হার্ট অ্যাটাক হলে কি করতে সেই বিষয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকতে সহায়তা করবে। এছাড়াও হার্ট অ্যাটাক কেন হয়, আপনি কতটা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে করণীয় কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে অনুচ্ছেদটি একদম শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

হার্ট অ্যাটাক কাকে বলে? 

হার্ট এটাক কখন হয় এবং কিভাবে হয় তা বুঝতে হলে হার্টের স্বাভাবিক কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। হার্ট মানুষের শরীরের জন্য একটি পাম্প যন্ত্র হিসেবে কাজ করে এবং সারা শরীরে প্রতিনিয়ত রক্ত সরবরাহ করে থাকে। হার্টের পেশি তথা কোষগুলোতেও রক্ত সরবরাহের প্রয়োজন হয় যা হার্টের গায়ে থাকা রক্তনালী গুলোর (করোনারি আর্টারি) মাধ্যমে পৌঁছায়।

কোনো কারণ বশত যখন করোনারি আর্টারিতে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় তখন হার্টের কোষগুলো রক্ত তথা অক্সিজেন পায় না। যার ফলে হার্টের কার্যক্রমে ব্যঘাত ঘটে এবং কোষগুলো মারা যেতে থাকে। আর এমতাবস্থাকেই হার্ট অ্যাটাক বলে। এটিকে মেডিকেলের ভাষায় Myocardial Infarction বা MI নামে অভিহিত করা হয়।

হার্ট অ্যাটাক কেন হয়?

হার্ট অ্যাটাক হওয়ার প্রধান কারণ হলো করোনারি আর্টারি ডিজিস যেখানে ফ্যাট বা কোলেস্টেরল জমা হয়ে হার্টের রক্তনালী ব্লক হয়ে যায় এবং এর ফলে হার্টের মাংসপেশী তথা কোষে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে‌। সাধারণত ব্লক ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হলেও তেমন কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয় না কিন্তু তা সময়ের সাথে সাথে আরো বাড়তে থাকলে নানাবিধ অস্বাভাবিক লক্ষণ সৃষ্টি করে যাকে হার্ট এটাকের পূর্ব লক্ষণ বলা চলে। রক্তনালীতে ব্লক অনেক বেশি হওয়ার ফলে যখন রক্ত প্রবাহ একদম বন্ধ হয়ে যায় তখন হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। করোনারি আর্টারিতে ব্লক ছাড়াও আরো কিছু বিষয় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জন্য দায়ী। যেমনঃ

  • ইয়াবা ও কোকেন সহ নানাবিধ মাদকদ্রব্য গ্রহণ যার ফলে হার্টের রক্তনালী অস্বাভাবিক ভাবে সংকুচিত হয়ে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়
  • কার্বন মনোঅক্সাইড যুক্ত বায়ু নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণের ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কমে যায় তথা কোষে অক্সিজেন পরিবহন বাধাগ্রস্ত হয়

হার্ট অ্যাটাক এর মূল কারণ করোনারি আর্টারি ডিজিস কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে এই অনুচ্ছেদটি পড়ুন।

হার্ট অ্যাটাক এর কারণ

হার্ট অ্যাটাক এর কারণ

বয়স, লিঙ্গ, খাদ্যাভ্যাস, শরীরের ওজন, জীবন যাপন পদ্ধতি সহ নানাবিধ বিষয় হার্ট এটাকের সাথে সম্পর্কিত। আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন এর তথ্য অনুযায়ী নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হার্ট এটাকের অধিক ঝুঁকি রয়েছে। যথাঃ (Newman, 2020)

  • বয়স্ক ব্যক্তি
  • পুরুষ মানুষ
  • উচ্চ রক্তচাপের রোগী
  • অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
  • শরীরের অতিরিক্ত ওজন
  • রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি
  • ধুমপায়ী এবং মদ্যপান কারী ব্যক্তি
  • অলস ব্যক্তি অথবা যারা খুবই কম শারীরিক পরিশ্রম করেন
  • যাদের পরিবারে হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন এমন ব্যক্তি ইত্যাদি

হার্ট অ্যাটাক এর পূর্ব লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাক কোনো প্রকার পূর্ব লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ করে হতে পারে। আবার কখনো কখনো আগে থেকে কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যায়। চলুন এই পর্যায়ে, হার্ট অ্যাটাকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেই-

১. বুকে চাপ অনুভব করা

হার্ট অ্যাটাকের একটি বড় লক্ষণ হল বুকে চাপ অনুভব করা। করোনারির আর্টারিগুলো সরু হয়ে যাওয়ার কারণে বুকে চাপ অনুভূত হয়। এই চাপের কারণে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, খুব কাছাকাছি সময়ের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে এর মানে এটা নয় যে, হার্ট অ্যাটাক হয়েই গেছে। আবার অনেকেই বুকে ব্যথা হলে তা স্বাভাবিক গ্যাসের ব্যথা বলে এড়িয়ে যায়। কিন্তু এমন অবহেলা না করে বরং এই রকম ব্যথায় সতর্ক থাকা জরুরি। ব্যথাকে এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. উচ্চ রক্তচাপ

হার্টের বিভিন্ন রোগ যেমন হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের অন্যতম একটি পূর্ব লক্ষণ হলো উচ্চ রক্তচাপ। করোনারি আর্টারিতে ব্লক হলে তখন রক্ত চলাচলের জন্য হার্টকে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করতে হয় যার ফলে উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়ে থাকে। বিশেষত সিস্টোলিক চাপ অর্থাৎ নিচের প্রেশার যাদের ৯০ এর অনেক বেশি থাকে তাদের ক্ষেত্রে সাবধান থাকা উচিত এবং সেই সাথে চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেতে হবে।

৩. ঝিমুনি এবং ঠাণ্ডা ঘাম হওয়া

ঝিমুনি হওয়া এবং ঠাণ্ডা ঘাম হওয়া, অর্থাৎ কোন কারণ ছাড়াই ঘামতে থাকা হার্ট অ্যাটাকের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ। মস্তিষ্কে সঠিকভাবে রক্ত চলাচল না হলে অনেক সময় মাথা ঘোরানো এবং শরীরে ঘাম হতে পারে। যদি পরিশ্রমের কাজ না করেও শরীর ঘামতে থাকে এবং সেই সাথে অত্যন্ত ক্লান্তিবোধ হয়ে ঝিমুনি আসতে থাকে, তাহলে মোটেও অবহেলা করা যাবে না।

এছাড়াও ঘুমের মাঝে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হলে, ঘুমের মধ্যে অকারণে অতিরিক্ত ঘেমে গেলে অথবা আগে নাক ডাকার অভ্যাস ছিলো না এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে রাতে অস্বাভাবিকভাবে নাক ডাকতে দেখা গেলে সেক্ষেত্রে অবহেলা না করে দ্রুত একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৪. প্রচন্ড শারীরিক দুর্বলতা

দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক দুর্বলতার অনুভূতি হওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি বিশেষ লক্ষণ। করোনারি আর্টারিগুলোতে ব্লক হয়ে যাওয়ায় এবং ঠিকমত রক্ত সঞ্চালন হতে না পারায় এই রকম হতে পারে। শরীরে রক্ত চলাচল কমে গেলে সম্পূর্ণ দেহের সুস্থ থাকার প্রধান উপাদান অক্সিজেনের অভাব হয়। ফলে দেহের পেশীগুলো ঠিক মত কাজ করতে পারে না এবং এতে দুর্বলতা অনুভূত হয়। দেহের পেশীগুলো দুর্বল মনে হওয়া, পরিশ্রমের কাজ করতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ।

 ৫. অবসন্নতা 

যখন হার্টের রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায় তখন হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম রক্ত পায়, তাই হৃৎপিণ্ডকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক গুণ বেশি কাজ করতে হয়। এই কারণে শরীর অত্যাধিক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ সামান্য হাঁটাহাঁটি, সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে অথবা হাতে ব্যাগ নিয়ে চলাফেরা করতে খুব বেশি ক্লান্তি বোধ হয়।‌

৬. শ্বাসকষ্ট হওয়া

শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া হার্ট অ্যাটাকের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসও আক্রান্ত হয়। যখন ফুসফুসে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না, তখন ফুসফুস পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস গ্রহণ করতে পারে না। এর ফলে শ্বাস ছোট হয়ে আসে এবং ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হয় তথা শ্বাসকষ্ট দেখা যায়।

হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষণ

হার্ট এটাকের লক্ষণ খুব হঠাৎ করে শুরু হয় এবং দ্রুত রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। নিচে উল্লেখিত লক্ষণগুলোকে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে-

  • হঠাৎ করে বুকের মাঝ বরাবর তীব্র চাপ বোধ এবং ব্যথা হয়
  • ব্যথা পুরো বুকে, কাঁধে, হাতে, পিঠে ও চোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে
  • প্রচন্ড ঘাম হয়ে থাকে
  • ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস
  • দুর্বলতা বোধ
  • মাথাঘোরা
  • বমি বমি ভাব ইত্যাদি

হার্ট অ্যাটাক এর প্রাথমিক চিকিৎসা

হার্ট এটাক হলে করণীয় বিষয়াবলীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা। তবে ততক্ষণে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে যা যা করতে হবে-

✓ এসপিরিন (Aspirin) ৩০০ মিগ্রা মাত্রার ওষুধ খাওয়াতে হবে যা বাজারে Disprin, Ecosprin, S pirin, Solrin ইত্যাদি নামে কিনতে পাওয়া যায়।

✓ নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে (nitroglycerin spray) রোগীর জিহ্বার নিচে দিতে হবে। এটি সাময়িক ভাবে হার্টের কোষের অক্সিজেনের চাহিদা কমায় যার ফলে হার্টের পেশী কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

✓ এছাড়াও রোগীর শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে বলে মনে হলে সেক্ষেত্রে CPR (cardiopulmonary resuscitation) দিতে হবে।

CPR কিভাবে দেবেন তার ধারাবাহিক নির্দেশনা

১। প্রথমত রোগীকে সমতল জায়গায় শুইয়ে দিতে হবে।

২। অতঃপর ছবিতে যেভাবে দেখা যাচ্ছে সেইরকম ভাবে আপনার এক হাতের তালু অন্য হাতের উপর তুলে রোগীর বুকের ঠিক মাঝখানে রাখুন এবং কনুই সোজা রেখে ক্রমাগত চাপ‌ দিতে থাকুন।

৩। জোড়ে জোড়ে চাপ দিতে হবে যেনো বুকের মাঝখানে ২ ইঞ্চি পর্যন্ত নিচু হয়ে যায় এবং এক্ষেত্রে গতি থাকতে হবে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২০ বার অর্থাৎ প্রতি মিনিটে প্রায় ২ বার চাপ দিতে হবে।

৪। একবার চাপ দেওয়ার পর হাত সরানোর দরকার নেই কিন্তু ভর যেন না থাকে সেভাবে হাত রাখতে হবে। অর্থাৎ চাপ‌ দিয়ে ছেঁড়ে দিতে হবে যেনো বুক আবার আগের মত হয় এবং বুক উপরে উঠার পর পুনরায় আবার চাপ দিতে হবে।

৫। প্রতি ৩০ বার করে বুকে চাপ দেওয়ার পর রোগীর মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দিতে হবে। কোনো কারণ বশত এটি করতে না পারলেও বুকে চাপ দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না রোগী শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া শুরু করে।

হার্ট অ্যাটাক রোগীর খাবার

হার্ট এটাকের পর চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ, খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপনের মাধ্যমে পরবর্তী জটিলতা এবং পুনরায় আবার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করা হয়। একজন হার্ট এটাকের রোগী হিসেবে আপনাকে কি কি খাবার খেতে হবে এবং কোনগুলো বর্জন করা উচিত তা নিচে উল্লেখ করা হলো- (Cherney, 2022)

কি কি খাবেনঃ 

  • প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল
  • বাদাম ও শস্যদানা
  • মাছ (সপ্তাহে অন্তত ২ দিন)
  • বাদামী চালের ভাত
  • আটার রুটি
  • সয়াবিন তেল বা অলিভ অয়েল
  • ডিম (প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১ টি) এবং তা ভাজি করা নয় বরং সিদ্ধ করা
  • মুরগির মাংস (চামড়া ছাড়ানো)
  • গরুর মাংস সামান্য পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে (সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম অথবা চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী)

কি কি খাবেন না? 

  • ফাস্টফুড
  • অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার
  • অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার
  • প্রক্রিয়াজাত খাবার
  • পটেটো চিপস, ক্যান্ডি
  • কেক, বিস্কুট, আইসক্রিম
  • পিজ্জা, বার্গার, হট ডগ
  • ধুমপান ও মদ্যপান ইত্যাদি

হার্টের রোগীদের খাবার গ্রহণে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

আপনার ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে হলে আগে থেকেই এসপিরিন জাতীয় ওষুধ এবং নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে সংগ্রহ করে সবসময় নিজের সাথে রাখুন। এতে করে হার্ট এটাক এর লক্ষন দেখা দেওয়া মাত্রই প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে এবং হার্টের ক্ষতিগ্রস্ততা তথা জটিলতা কম হবে।

বোনাস টিপস:

একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ জানার পর নিশ্চয় আপনি চিন্তিত বোধ করছেন? আপনার হার্ট কতটা ভালো কর্মক্ষম রয়েছে অথবা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কতটুকু তা সুনির্দিষ্ট ভাবে জানতে নিচের টেস্ট দুইটি করে ফেলতে পারেন।

১। ইটিটি (ETT- exercise tolerance test): এটি ইসিজির মতোই একধরনের পরীক্ষা যেখানে রোগীকে ট্রেডমিলে দৌড়ানোর সময় হার্টের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মাধ্যমে আপনার হার্টের কার্যক্ষমতা এবং করোনারি আর্টারিতে ব্লক রয়েছে কিনা তা জানা সম্ভব।

২। লিপিড প্রোফাইল (Lipid profile): এই পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়। এই পরীক্ষাটি করানোর জন্য ১২ ঘন্টা না খেয়ে থাকার প্রয়োজন হয় এবং নমুনা হিসেবে রক্ত সংগ্রহের প্রয়োজন পড়ে। রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ দেখে হার্টের রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে জানা যায়।

References

Cherney, K. (2022, January 07). Foods to Eat and Limit After a Heart Attack. Retrieved from Healthline: https://www.healthline.com/health/heart-health/food-eat-avoid

Newman, T. (2020, 09 29). How to spot and treat a heart attack. Retrieved from Medical News Today: https://www.medicalnewstoday.com/articles/151444#risk-factors

 

 

Last Updated on November 1, 2023