Table of Contents
ডায়াবেটিস কি? (What is Diabetes )
সহজ কথায় বলতে গেলে শরীরে ইনসুলিন কমে যাওয়াকেই ডায়েবেটিস বলে। বাংলায় এর নাম বহুমূত্র রোগ। কারণ ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া এ রোগের প্রধান লক্ষণ। এ রোগের সম্পূর্ণ নাম ডায়াবেটিস মেলাইটাস তবে বেশিরভাগ মানুষই একে সংক্ষেপে ডায়াবেটিস বলে থাকে।
মানব দেহে অগ্ন্যাশয় (Pancreas) নামে একটি অর্গান থাকে। অগ্ন্যাশয় থেকে অনেক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, ইনসুলিন তাদের মধ্যে অন্যতম। ইনসুলিনের কাজ হল রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখা। যদি কোন কারণে ইনসুলিন ক্ষরণ কম হয় বা এর কার্যক্ষমতা কমে যায়, তখন রক্তে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর মানব দেহের এ পরিস্থিতিকে ডায়াবেটিস বলে।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের (International Diabetes Federation ) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭.১ মিলিয়ন। এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এই ডায়াবেটিস স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনিজনিত দীর্ঘস্থায়ী রোগ, নিউরোপ্যাথি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি রোগের কারণ হতে পারে। তাই ডায়াবেটিস সম্পর্কে সব খুটিনাটি যেমন –
ডায়াবেটিস কেন হয় তার লক্ষণগুলো কি কি, এবং তা কমানোর উপায়!
ইত্যাদি বিষয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে। আরও নানা অজানা প্রশ্নের উত্তর পেতে পুরো লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ডায়াবেটিস কত প্রকার ও কি কি?
বিভিন্ন কারনেই ডায়াবেটিস হতে পারে। সেগুলো না হয় আরেকটু পর বলি, তার আগে জেনে নেই সবারই কি ডায়াবেটিস হতে পারে? এর উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ, সবারই ডায়াবেটিস হতে পারে। ডায়াবেটিস মূলত ৪ ধরনের –
- টাইপ 1 ডায়াবেটিস
- টাইপ 2 ডায়াবেটিস
- গর্ভকালীন বা জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস (Gestational Diabetes)
- সেকেন্ডারি ডায়াবেটিস মেলাইটাস
টাইপ 1 ডায়াবেটিস কি? (what is type 1 diabetes)
এর আরেক নাম “Insulin Dependent Diabetes” সাধারণত ৩০ বছরের কম বয়সী লোকদের হয়,
এমনকি বাচ্চাদেরও হতে পারে। টাইপ 1 ডায়াবেটিস হওয়ার কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই। শরীরের “Imune” সিস্টেম যখন ক্ষতিকর পদার্থ বা ব্যাকটেরিয়া ভেবে ভুলবশত “Islets of Langerhans” (অগ্ন্যাশয়ের একটি কোষ যা ইনসুলিন উৎপাদন করে) ধ্বংস করে ফেলে তখন আর ইনসুলিন বের হতে পারে না। যার কারন রক্তে সুগারের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়
টাইপ 2 ডায়াবেটিস কি? (what is type 2 diabetes )
এই টাইপের ডায়াবেটিসর ক্ষেত্রে
“Islets of Langerhans” এর কোন ক্ষতি হয় না এবং ইনসুলিন ক্ষরণও থেমে যায় না। যা হয় তা হল ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে যায় বা কাজ করতে বাধা প্রাপ্ত হয় যাকে মেডিকেল সাইন্সে “Relative Deficiency of Insulin” বলা হয়।
অনেক সময় মানব দেহে প্রয়োজনের তুলনায় ইনসুলিন কম নিঃসৃত হয়। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রতিদিন প্রায় ২০০ IU ইনসুলিন নিঃসৃত হয়, যদি এর কম হয় তখন ইনসুলিন তার কাজ ঠিক মত করতে পারে না । এই অবস্থাকেই টাইপ 2 ডায়াবেটিস বলে। সাধারণত ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সী লোকদের ক্ষেত্রে এ ধরেনের ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কি?
গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে যে ডায়াবেটিস হয় সেটা হল গর্ভকালীন ডায়াবেটিস। গর্ভাকালীন ডায়াবেটিস কে Class A1 এবং Class A2 এই ২ ভাগে ভাগ করা যায়। Class A1 সাধারন ডায়েট এবং নিয়মিত ব্যায়ামেই ভাল হয়ে যায় কিন্তু Class A2 এর ক্ষেত্রে ইনসুলিন নিতে হয়।
সেকেন্ডারি টাইপ ডায়াবেটিস মেলাইটাস কি?
সেকেন্ডারি টাইপ বলতে অন্যান্য কারনে যে ডায়াবেটিস হয় তাকে বুঝায়। যেমন অগ্ন্যাশয়ের অসুখ থাকলে, বিভিন্ন ওষুধ (Corticosteroid, Phenoytoin) সেবনের কারনে, ভাইরাল ইনফেকশনের (Mups, Rubella) কারনে ইত্যাদি কারণে এ ধরনের ডায়াবেটিস হতে পারে।
ডায়াবেটিস কেন হয়?
বিভিন্ন কারণেই ডায়াবেটিস হতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ –
- স্থুলতা/অতিরিক্ত ওজন
- উচ্চ রক্তচাপ
- বংশগত ভাবে
- অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন
- বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে
- নিম্ন মাত্রার HDL কোলেস্টেরল থাকা
- ধূমপান (টাইপ 2)
কিভাবে বুঝবেন আপনি টাইপ 1 কিংবা টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত
সাধারণত ৩০ বছরের কম বয়সী লোকদের টাইপ 1 ডায়াবেটিস হয়, অপরদিকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সী লোকদের টাইপ 2 ডায়াবেটিস হয়। অতিরিক্ত ওজন কমা টাইপ 1 ডায়াবেটিসকে নির্দেশ করে। টাইপ 2 ডায়াবেটিসে কিছুটা ওজন কমে। টাইপ 2 ডায়াবেটিস বংশগত কিন্তু টাইপ 1 এর ক্ষেত্রে এর কোন ভূমিকা নেই।
ডায়াবেটিসে সাধারন লক্ষণগুলো টাইপ 1 এ দেখা যাবেই কিন্তু টাইপ 2 তে সবসময় নাও দেখা যেতে পারে। টাইপ 1 এ অবশ্যই ইনসুলিন নিতে হবে কিন্তু টাইপ 2 তে Oral anti-diabetic Drug নিতে হয়, যখন এতে কাজ না হয় তখন এর সাথে সাথে ইনসুলিনও নিতে হয়।
ডায়াবেটিস মাপার নিয়ম
এতক্ষনে হয়তো আপনাদের মনে সন্দেহ ঢুকে গেছে যে আমারও কি ডায়াবিটিস আছে কিনা? সন্দেহের অবসান ঘটাতে হলে ডায়াবেটিস সম্পর্কে আমাদের আরও কিছু জানতে হবে যেমন – ডায়াবেটিস কিভাবে মাপা হয়, সুগারের মাত্রা কত হলে বুঝবেন Diabetes ইত্যাদি। প্রথমেই বলে নেই ডায়াবেটিস আছে কিনা তা নির্ভর করে ব্লাড সুগার লেভেলের উপর।
এখন কথা হল ব্লাড সুগার কি? নামেই বুজতে পারছেন ব্লাড সুগার মানে হল আপনার রক্তে কত পরিমাণ সুগার আছে। “WHO Daignsois Criteria of DM” অনুযায়ী ডায়াবেটিস আছে কিনা তা ৩ ভাবে ডায়াগনসিস করা যায়।
যার মধ্যে একটি হল “Blood Sugar Level” এটা আপনি নিজেও করতে পারবেন। ঘরে বসে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হলে আপনার দরকার একটি গ্লুকোমিটার।
যার মাধ্যমে আপনি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফলাফল পেয়ে যাবেন। গ্লুকোমিটারে থাকে একটি স্ট্রিপ, নিডল ও ইলেক্ট্রিক ডিভাইস যেটাতে ডিজিট দেখা হয়।
নিডলের মাধ্যমে আঙুলের একদম উপরের অংশ (Tip of the finger) সরু ছিদ্র করে তার থেকে যে কয়েক ফোটা রক্ত বের হবে তা স্ট্রিপটিতে লাগান এবং তা গ্লুকোমিটারে প্রবেশ করান। কিছুক্ষনের মধ্যেই দেখবেন ব্লাড সুগার লেভেল স্ক্রীনে দেখাচ্ছে।
ডায়াবেটিস কত হলে নরমাল
নরমাল রেঞ্জ বের করতে ২ টি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। একটা হল সম্পূর্ন খালি পেটে আরেকটি সকালে নাস্তার ২ ঘন্টা পর। খালি পেটে সুগারের নরমাল লেভেল 6.1 – 7.0 mmol/L এবং ভরা পেটে সুগারের নরমাল লেভেল 7.8 – 11.0 mmol/L । এর চেয়ে বেশি হলে ডায়াবেটিস আছে বলে ধরে নিতে হবে।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
Diabetes অনেকগুলো লক্ষণ আছে । তবে যে লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারে পরামর্শ নেয়া উচিত সেগুলো এখানে দেয়া হল।
- ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া (পলিইউরিয়া)
- ঘনঘন তৃষ্ণা লাগা (পলিডিপসিয়া)
- ওজন কমে যাওয়া
- ক্ষত ভাল হতে সময় লাগা ( Slow healing rate)
- রাগান্বিত থাকা
- ক্ষুধামন্দা লেগে থাকা
- মনোযোগ কমে যাওয়া
- খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে যাওয়া
- চোখে ঝাপসা দেখা
- যৌন মিলনের সময় বীর্যপাতে সমস্যা (ইরেক্টাইল ডিসফাংশন)
ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
এটা এমন রোগ যার পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়। তবে বিভিন্নভাবে কন্ট্রোলে রাখা যায়। আমরা এখন জানবো ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
পরিমাণ মত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহন: যেহেতু ডায়াবেটিস মানেই ইনসুলিনের সমস্যা। আর ইনসুলিনের কাজই হল সুগার কন্ট্রোলে রাখা। চিনি জাতীয় খাবার বর্জন করুন। সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম কার্বোহাড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে প্রতিদিন যা শরীরে জন্য ক্ষতিকর নয়।
ফাইবার জাতীয় খাবার: শাকসবজি, ফলমূল এগুলো ফাইবার জাতীয় খাবার। ফাইবার জাতীয় খাবার রক্তে সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
হাঁটাহাঁটি করা: নিয়মিত ৩০-৪০ মিনিট দ্রুত ভাবে হাঁটুন। খুবই গুরুত্বপূর্ন এটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। যত বেশি হাটবেন তত ক্যালরি বার্ন হবে তখন শরীরের অতিরিক্ত গ্লুকোজ ভেঙ্গে শক্তি উৎপাদন হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করা: পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা ধরে রাখতে সহায়তা করতে পারে। একটি পর্যবেক্ষণ গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা বেশি পরিমাণে পানি পান করেন তাদের রক্তে উচ্চ শর্করার বিকাশের ঝুঁকি কম থাকে।
লো গ্লাইসেমিক খাবার গ্রহণ: লো গ্লাইসেমিক বলতে বুঝায়, যেসব খাবারে কম পরিমাণে সুগার থাকে। বার্লি, দই, ওটস, মটরশুটি, মসুর ডাল, শাপলা, গম পাস্তা, সবজি ইতাদি কম গ্লাইসেমিক খাবার। (Low glycemic index food).
নিয়মিত ইনসুলিন গ্রহন: যাদের ডায়াবেটিস অত্যন্ত বেশি শুধু মাত্র মুখে খাওয়ার ওষুধে কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না, তারা নিয়মিত ইনসুলিন গ্রহন করে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে পারেন।
ধূমপান না করা: ডায়াবেটিস রোগীদের এমনিতেই বহুমুখী রোগ হয়ে যায়। তাই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। এছাড়াও ধূমপান টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর কারন।
ভিটামিন ডি গ্রহন: যাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব রয়েছে তারা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪৩% কমিয়ে দেয়।
ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা
সাধারণত 2 টি উপায়ে করা যায় –
1. জীবনযাপনের পরিবর্তন: নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করার অভ্যাস করতে হবে। ধূমপান এবং অ্যালকহোল জাতীয় পানীয় ত্যাগ করতে হবে।
2. ডায়াবেটিসের ঔষধ: যদি ডায়েট এবং জীবনযাপনের পরিবর্তনে ডায়াবেটিস পুরোপুরি কন্ট্রোলে না আসে, তখন “Oral anti -Diabetic Drug” মানে মুখে খাওয়ার ঔষধ এবং “Insulin” নিতে হয়। যাদের শুধু মাত্র Oral anti -Diabetic Drug খেলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে তাদের ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন নেই।
ডায়াবেটিসের ঔষধ
Diabetic হলে যে সব ওষুধ খাওয়া খুবই প্রয়োজন
ওষুধের নাম | যে ভাবে কাজ করে | পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া |
গ্লিপিজাইড (Glipizide) | অগ্ন্যাশয় থেকে বেশি বেশি ইনসুলিন ক্ষরণে সাহায্য করে। | ডাইরিয়া, বমি, অ্যালার্জি, ওজন বাড়ায় |
মেটফরমিন (Metformin) | লিভারে কম পরিমাণে গ্লুকোজ উৎপাদন করায় | ওজন কমে যায়, ডাইরিয়া, বমি |
বাইগুয়ানাইডস (Biguanides) | লিভারে কম পরিমাণে গ্লুকোজ উৎপাদন করায়। | ওজন কমে যায়, ডাইরিয়া, বমি |
ইনসুলিন (Insulin) | টিস্যুতে বেশি বেশি পরিমাণ গ্লুকোজ প্রবেশ করায় যাতে রক্তে সুগারের পরিমাণ কম থাকে। | অ্যালার্জি |
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কোন খাবারই একেবারে খাওয়া যাবে না এমনটা ডাক্তারদের পরামর্শ নয়। তবে কিছু খাবারের ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ আছে। স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন যেমন নিয়মিত ডায়াবেটিক রোগীর খাবারের তালিকা মেনে চলা, প্রতিদিন কিছু ব্যায়াম করা, এবং নিয়ম মাফিক জীবন যাপন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা শুধু সম্ভবই নয়, বরং খুব সহজ।
যে খাবারগুলো বেশি খাবেন
- উপকারী চর্বি (Unsaturated fats) যেমন, বাদাম, অলিভ ওয়েল, মাছের তেল ইত্যাদি।
- শাক সবজি ও ফলমূল– মূলত পরিষ্কার, টাটকা ও রঙিন শাকসবজি ভাল।
- দেশজ মাছ ও মুরগি অল্প পরিমাণে।
- ভাল প্রোটিন জাতীয় খাবার– যেমন, ডিম, অল্প চর্বি জাতীয় দুধ, টক দই ইত্যাদি।
যে খাবারগুলো কম খাবেন
- অতিরিক্ত মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার
- ফাস্ট ফুড, বেকিং করা খাবার, বিশেষ করে যাতে চিনি, মিষ্টি, ডেজারট, চিপস ইত্যাদি থাকে।
- প্রক্রিয়াজাত পাস্তা বা চাল
- প্রক্রিয়াজাত মাছ বা মাংস
ভাত হল উচ্চ কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার। তাই ভাত যত কম খাবেন ততই ভাল। সকালে ও রাতে ভাতের পরিবর্তে ১-২ টি রুটি সাথে সবজি, দই, ফল খেতে পারেন। দুপুরে চাইলে ১ কাপ ভাতের সাথে চর্বিমুক্ত মাছ কিংবা মাংস খুবই অল্প পরিমাণে, সাথে শাকসবজি খেতে পারেন।
কি খেলে সুগার কমে?
- ব্রকলি
- সামুদ্রিক মাছ
- কুমড়া এবং কুমড়ার বীচি
- বাদাম এবং বাদামের মাখন
- ঢেঁড়স
- শিম এবং শিমের বীচি
- চিয়া সীড
- বেরি (জামজাতীয় ফল)
- অ্যাভোকাডো ফল
- ওটস
- সাইট্রাস ফল (আমলকী, কমলা)
- আন্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার (কাঠবাদাম, গ্রিন টি, আনারাস, আঙুর)
- মেথি
- করলা
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে উপরের খাবার গুলো সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। এইসবের মাধ্যমে অনেকটা প্রাকৃতিক উপায়েই Diabetes চিকিৎসা করা যায়।
যে সব কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের মৃত্যু বেশি হয়
ডায়াবেটিস হল সকল রোগের জননী। এর কারনে সহজেই ডায়াবেটিক রোগীর Multiple Disease (বহুরোগ) হয়। কারণ ডায়াবেটিস শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে (Immune Defence System) দুর্বল করে দেয়। বিভিন্ন রোগের কারণে ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যু হার নিম্নরূপ
রোগের নাম | মৃত্যুর হার |
হৃদরোগ | ৭০% |
কিডনি ফেইলিউর | ১০% |
ক্যান্সার | ১০% |
ইনফেকশন | ৬% |
ডায়াবেটিক কিটোএসিডোস (রক্তে অতিরিক্ত কিটোনবডির উপস্থিতি) | ১% |
অন্যান্য | ৩% |
ডায়াবেটিস একটি নিরব ঘাতক রোগ। উপরের আলোচনার মাধ্যমে ডায়াবেটিস কি? এর লক্ষণ এবং ডায়াবেটিস কমানোর উপায়, এছাড়াও ডায়াবেটিস সম্পর্কে যা যা আপনার জানা প্রয়োজন বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আপনাদের কারো মধ্যে যদি এইসব লক্ষণ থেকে থাকে বা কারো যদি আগে থেকেই ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাহলে উপরের লেখাটি পরে আপনাদের কতটুকু উপকার হল তা আমাদের পাঠকদের সাথে শেয়ার করুন।
Last Updated on November 1, 2023
Leave A Comment