মুখে ব্রণের দাগ পরে গেছে? অনেক কিছু ব্যবহার করেও কোন উপকার পাচ্ছেন না? অনেকেই তো ঘর থেকেই বের হতে চাচ্ছেন না মুখে ব্রণ থাকার কারণে। কি করবেন তাও বুঝতে পারছেন না! আমাদের অনেক পাঠকই ব্রণ দূর করার উপায় জানতে চেয়ে আমাদের প্রতিদিনই অসংখ্য মেসেজ দিয়ে থাকেন। তাই আজকের লেখাটি আপনাদের জন্য, যারা ব্রণ দূর করার জন্য কিছু কার্যকরী উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
এলোভেরা (Aloe Vera) বা ঘৃতকুমারি একধরনের রসালো প্রকৃতির উদ্ভিদ প্রজাতি। শত শত বছর ধরে রূপচর্চা ও বিভিন্ন ভেষজ চিকিৎসায় এলোভেরার ব্যবহার হয়ে আসছে। এলোভেরা তে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই সহ আরো বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ। ভিটামিন বি, সি এবং ই এর অন্যতম প্রাকৃতিক উৎস হওয়ায় রূপচর্চার একটি জনপ্রিয় উপাদান এলোভেরা। এলোভেরা দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় এবং রূপচর্চায় এর আরো নানা ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পুরো অণুচ্ছেদটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
Table of Contents
ত্বকের যত্নে এলোভেরা
এলোভেরা (Aloe Vera) বা ঘৃতকুমারি রূপচর্চার জন্য এটি সম্ভবত সর্বাধিক ব্যবহৃত একটি ভেষজ উদ্ভিদ।এর পাতার ভেতরে একধরনের আঠালো পদার্থ থাকে, এই আঠালো পদার্থগুলোই আমরা সরাসরি কিংবা অন্যান্য উপাদের সাথে একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করি। এমনকি ছোট ছোট ক্ষত সাড়াতেও এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য।
এলোভেরা দিয়ে মুখের যত্ন করা ক্ষতিকর কিনা?
এর উত্তরে আমরা বলব না। কারণ ত্বকের ক্ষতি করে এমন কোন উপাদান এই উদ্ভিদে নেই। বহুগুণের অধিকারী এই ঘৃতকুমারী দিয়ে রূপচর্চার কিছু জনপ্রিয় পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হল।
নিয়মিত সৌন্দর্য চর্চায় এলোভেরা
অ্যালোভেরা ফেসিয়াল
রূপচর্চার একটি সহজ উপায় হল অ্যালোভেরা ফেসিয়াল করা। ভাল করে হাত ধুয়ে, সামান্য জেল হাতে নিয়ে সারা মুখে ভাল করে মাখুন যাতে ত্বকের কোন অংশ বাদ না থাকে। এভাবে লাগানোর ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ফেইস মাস্ক হিসেবে
এর পাতার ভেতরের জেল দিয়ে তৈরি ফেইস মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক কোমল ও সতেজ হয়। এই ধরণের ফেইস মাস্ক বানাতে ৩ টি উপকরন প্রয়োজন হয়।
- এক টেবিল চামচ এলোভেরা জেল
- নারিকেল তেল এবং
- লেবুর রস
এই তিনটি উপাদান একটি ছোট পাত্রে নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ব্যবহারের আগে ভালভাবে মুখ ধুয়ে নিন এবং মিশ্রণটি ৫-১০ মিনিট মুখে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন।
সতর্কতাঃ
ক্ষত স্থানে এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যাবে না, কারণ লেবুর রসে উচ্চ মাত্রার অ্যাসিড থাকে, ফলে অনেক জ্বালাপোড়া করতে পার।এলোভেরা মাস্ক সারারাত ব্যবহার করতে চাইলে এলোভেরা জেল, শসা এবং ডিমের সাদা অংশ একসাথে ব্লেন্ডার দিয়ে একটু ঘন করে ব্লেন্ড করে নিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
মেকাপ তোলার জন্য
আমাদের মুখের ত্বক অনেক নরম প্রকৃতির হওয়ায় অনেক সময় মেকআপ তুলতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই খুব সহজেই মেকআপ তুলতে এলোভেরা ব্যবহার করা যেতে পারে। এজন্য যা করতে হবে, একটি তুলায় এর জেল নিয়ে মেকাপের উপর কিছুক্ষণের জন্য লাগিয়ে দিলে সেটা নরম হয়ে যায় । এবং কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই মেকআপ তুলে ফেলা যায়।
ময়েশ্চারাইজার
আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত ধরণের হয় অথবা যদি সময়টা হয় গ্রীষ্মকাল, তাহলে আপনার ত্বকের ময়েশ্চারাইজার (Moisturizer) হিসেবে সরাসরি এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এর শোষণ ক্ষমতা রয়েছে যা ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত পদার্থকে শোষণ করে ফেলতে পারে। তবে শীতের সময় ব্যবহার না করাই ভাল, কেননা শীতের মৌসুমে ত্বক এমনিতেই শুষ্ক থাকে, তখন এলোভেরা ব্যবহার করলে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়।
ত্বকের স্ক্রাব হিসেবে
বিশুদ্ধ এলোভেরা খুব সহজেই হোমমেড স্ক্রাব (Scrub) হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এজন্য পরিমাণমত ব্রাউন সুগার অথবা বেকিং সোডার সাথে এলোভেরা মিশিয়ে সেটা আস্তে আস্তে ত্বকে বৃত্তাকার ভাবে ঘষতে হবে। এর ফলে ত্বকের মৃত চামড়াগুলো চলে যাবে, আর ত্বক হবে মসৃণ এবং নমণীয়।
শেভ করার জন্য
ছেলেদের বেলায় অনেক প্রফেশনাল বিউটিশিয়ানরা শেভ করার জন্য শেভিং ক্রিম হিসেবে শুধুমাত্র এলোভেরা জেল ব্যবহার করেন। এই জেল শেভিং ক্রিম হিসেবে ব্যবহারের সবচাইতে বড় সুবিধা হল এটা দিয়ে শেভ করার পর আলাদা কোন আফটার শেভ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।
এর আরও কিছু চমৎকার ব্যবহার রয়েছে-
শুষ্ক এবং পা ফাটা প্রতিরোধে ব্যবহার
এটি শুষ্ক ও ফাটা পায়ের জন্য অনেক ভাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এর জেল সরাসরি পায়ে এবং মোজায় সারারাত দিয়ে রাখলে আশ্চর্যজনক ভাবে কাজ করে। তাছাড়া ১/৪ কাপ জেলের সাথে আধা কাপ ওটমিল (Oatmeal) এবং আধা কাপ লোশন একসাথে মিশিয়ে/ ব্লেন্ড করে ফুট মাস্ক বানিয়ে পায়ে ব্যবহার করলে পা অনেক মসৃণ হয়, এবং পায়ের ফাটা কমে যায়। এই মিশ্রণের সাথে চাইলে Tea Tree Oil ব্যবহার করতে পারেন, এতে মিশ্রণটি সুগন্ধযুক্ত হয়।
ঘৃতকুমারীর উপকারিতা
এলোভেরাকেই বাংলায় ঘৃতকুমারী বলা হয়। দীর্ঘস্থায়ী ত্বকের সমস্যায় এর ব্যবহার অহরহ। এছাড়া অনেকে জুস বানিয়েও নিয়মিত এটি খেয়ে থাকেন হজম শক্তি বাড়ানোর জন্য। তবে ত্বকের বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিচে এই বহুগুণী উদ্ভিদের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হল:
১. ব্রণ
এলোভেরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ব্যবহার এবং যার জন্য সবচেয়ে বেশি এটি ব্যবহার করা হয় তা হল রূপচর্চা। মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার সহজ উপায় হল, মুখে নিয়মিত এলোভেরার জেল লাগানো। এর ব্যবহারে ত্বক ভাল থাকে এবং গায়ের রঙ উজ্জ্বল হভার
২. পুড়ে যাওয়া ক্ষত নিরাময়ে
হালকা পুড়ে যাওয়া ক্ষত স্থানে প্রতিদিন তিন বার করে এলোভেরা জেল লাগালে দ্রুত নিরাময় পাওয়া যায়। এবং অসবশ্যই ক্ষত স্থানটি একটি পরিষ্কার তুলা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
৩. সানবার্ন
এটি সানবার্ন (Sunburn) এর প্রভাব কে প্রশমিত করে। তবে সানবার্নের চিকিৎসায় এর উপকারিতা কোন নির্ভরযোগ্য গবেষণা দ্বারা প্রকাশিত হয় নি।
৪. ক্ষত নিরাময়ে
ছোট ছোট ক্ষত নিরাময়ে ঘৃতকুমারী ব্যবহার করা হয়। এটি জ্বালাপোড়া ও ব্যাথা কমায়। সাবান এবং পানি দিয়ে জায়গাটি ভালভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। অল্প পরিমাণে জেল লাগিয়ে একটি ব্যান্ডেজ লাগিয়ে নিন। পর পর দুই দিন এভাবে ব্যবহার করুন ।
৫. শুষ্ক ত্বক
এলোভেরার শোষন হার বেশি হওয়ায় এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। প্রতিদিন গোসলের পর এটি ব্যবহার করলে ত্বক ভাল থাকে।
৬. ফ্রস্টবাইট (Frostbite)
ফ্রস্টবাইট (একধরনের ক্ষত যা অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়ার কারনে হয় বিশেষ করে শীত প্রধান দেশে) একটি গুরুতর অবস্থা যার জন্য জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। ফস্টবাইটের চিকিৎসায় এলোভেরার ব্যবহার অনেক আগে থেকেই প্রচলিত, বিশেষ করে শীত প্রধান দেশে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফ্রস্টবাইটের চিকিৎসায় এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন।
৭. কোল্ড সোর (Cold Sore)
হারপিস সিমপ্লেক্স (Herpes simplex) ভাইরাসের ইনফেকশনে কোল্ড সোর হয়। কোল্ড সোর মানে মুখের কোনায় ঘা হওয়া। কোল্ড সোরের চিকিৎসায় এলোভেরা ব্যবহার করা হয়।
৮. একজিমা
একজিমা (Eczema) এক ধরনের চর্ম রোগ। এলোভেরার ময়শ্চারাইজিং (শ্বেত-শ্বেতে ভাব) প্রভাব একজিমা এর সাথে যুক্ত শুষ্ক, চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। এর জেল সেবোরেইক ডার্মাটাইটিস (Seborrheic dermatitis) দূর করতেও ব্যবহার করা হয়। একজিমা মাথার তালু, কানের পেছনে ইত্যাদি জায়গায় বেশি হয়।
৯. সোরিয়াসিস (Psoriasis)
এর (একধরনের চর্ম রোগ) চিকিৎসায় ব্যপকভাবে ঘৃতকুমারী ব্যবহার করা হয়। দ্রুত ভালো হওয়ার জন্য প্রতিদিন দুইবার করে এলোভেরার জেল আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হয়।
১০. পোকামাকড়ের কামড়ের চিকিৎসা
সাবান এবং পানি দিয়ে জায়গাটি ভালভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। অল্প পরিমাণে এলোভেরা জেল লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট এভাবে রেখে দিন। প্রয়োজনে দিনে কয়েকবার ব্যবহার করুন। এতে ভাল ফল পাওয়া যায়।
১১. প্রাকৃতিক মাউথওয়াশ হিসেবে
এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant) ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস প্রতিরোধ করে যা দাঁতের মাড়ির জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও এর ওষধি গুণাগুণ মুখের দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস দূর করে। এক কাপ এলোভেরা জেল, আধা কাপ পাতিত পানি (Distilled Water), এবং দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা একসাথে মিশিয়ে কুলকুচি করলে মুখের দুর্গন্ধ সাথে সাথে চলে যায়। এই মিশ্রণটি শুধু কুলকুচি করার জন্য, খেয়াল রাখবেন কুলকুচি করার সময় মিশ্রণটা যেন ঢোক গিলে না ফেলেন।
১২. পেট খারাপ এর চিকিৎসায়
এলোভেরার জুস খাবার হজমে সহায়তা করে, পেট খারাপ এবং বুক জ্বালাপোড়া দূর করতে পারে। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করার জন্যও এলোভেরার শরবত বেশ উপকারী।
মুখের জন্য এলোভেরার উপকারিতা
নিয়মিত অল্প পরিমাণে এর ব্যবহারে মুখের ব্রণ, একজিমা এবং রোদে পোড়া সহ ত্বকের বিভিন্ন রোগ থেকে সুস্থ থাকা যায়। বাজারে অনেক ধরনের এলোভেরা জেল পাওয়া যায়। আপনি চাইলে ফ্রেশ উদ্ভিদ থেকে নিজে জেল সংগ্রহ করেও ব্যবহার করতে পারেন।
মুখে এর ব্যবহারে যেসব উপকার পাওয়া যেতে পারে:
- ১. এর প্রদাহবিরোধী (Anti-inflammatory) বৈশিষ্ট্য যেমন- ব্যথা, ফোলা এবং ক্ষত বা আঘাতের ব্যথা হ্রাস করতে পারে।
- ২. এলোভেরা কোলাজেন (Collagen) উৎপাদন ও নিঃসরণ বাড়ায়।
- ৩. ১ম ডিগ্রি এবং ২য় ডিগ্রি বার্ন এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
- ৪. ফাংগাল এবং ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনে ব্যবহার করা হয়।
- ৫. এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক এক ধরনের গুরুত্বপূর্ন উপাদান থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের চামড়া টান টান রাখে যার ফলে বয়সের ছাপ পড়ে না। মানে চামড়ায় খুব সহজে ভাজ পরে না।
- ৬. সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
- ৭. এতে ৯৮% পানি থাকায় এটি ত্বককে হাইড্রেটেট (Hydrate) রাখতে সাহায্য করে।
- ৮. ত্বককে কোমল ও ঠান্ডা রাখে।
মুখে এলোভেরা ব্যবহারের নিয়ম
এলোভেরা পণ্য কেনার সময়, অ্যালকোহল বা অন্যান্য রাসায়নিকের মতো অতিরিক্ত উপাদানযুক্ত পণ্যগুলো এড়িয়ে চলুন। এগুলো ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। ফ্রেশ জেল পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল একটি এলোভেরা গাছ ঘরে রাখা। রূপচর্চায় এর চেয়ে সহজ প্রসাধনী আর কি হতে পারে বলুন!
সরাসরি গাছ থেকে এলোভেরা ব্যবহারের নিয়ম
- একটি ধারালো ছুড়ি দিয়ে যতটা সম্ভব মূলের কাছাকাছি থেকে একটি পাতা কেটে নিন।
- পাতাটি ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
- একটি পাত্র নিয়ে পাতার কাটা অংশটি উপরে দিকে দিয়ে, পাতাটি ১৫ মিনিটের জন্য খাড়া করে রাখুন। এভাবে ১৫ মিনিট রেখে দিলে একটি হলুদ রঙের থকথকে পদার্থ বের হয়ে যাবে, যার নাম এলোভেরা লেটেক্স (Aloee vera latex)। অনেকের মুখে এটি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তাই এটি ব্যবহার না করাই ভাল।
- পাতার উপরের সরু অংশটি কেটে ফেলুন।
- পাতার দু পাশে থাকা কাটাগুলো কেটে ফেলুন।
- কাঁটাগুলো কাটার পর দেখতে পাবেন দু পাশে পাতার মাঝখানে জেলির মত নরম পদার্থ দেখা যাচ্ছে। পাতার যেকোন একপাশ সরিয়ে, ভিতরে থাকা জেলির মত পদার্থগুলো চামচ দিয়ে সংগ্রহ করুন।
- জেলটি সাবধানে ধুয়ে ফেলুন যাতে এতে কোনও এলোভেরা লেটেক্স এর অবশিষ্টাংশ না থাকে।
- সংগ্রহের পর এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
- এছাড়াও একটি পাত্রে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে, ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহ রেখে, এই জেল ব্যবহার করা যায়।
এটি ব্যবহারের আগে এতে আপনার এলার্জির সমস্যা আছে কিনা পরীক্ষা করে নিন। হাতের কব্জিতে একটু সংগ্রহিত জেল মেখে ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। যদি কোন ধরনের চুলকানি বা ফুসকুড়ি না উঠে তাহলে ব্যবহার করতে পারবেন অন্যথায় ব্যবহার না করাই ভাল।
মুখে ব্রণ কেন হয়?
শরীরের যেকোন জায়গাতেই ব্রণ হতে পারে। তবে ব্রণ সবচেয়ে বেশি হয় মুখে, তাই এটা এতো চিন্তার কারণ। আমাদের শরীরে থাকা লোমকূপগুলো যখন ধুলাবালি, মৃত চামড়া বা ব্যাকটেরিয়া দিয়ে বন্ধ হয়ে যায়, তখন সেখানে ব্রণ হয়।
প্রতিটি লোমকূপে থাকে একটি করে তৈল গ্রন্থি, যাকে Sebaceous gland বলা হয়। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত তেল ধুলাবালির সাথে মিশে লোমকূপ কে বন্ধ করে দেয় আর তখন সেখানে ব্যাকটেরিয়া জমে ব্রণের সৃষ্টি হয়। এছাড়া আরও বিভিন্ন কারণে ব্রণ হতে পারে –
- হরমোনাল পরিবর্তন (Hormonal change)
- তৈলাক্ত ত্বক
- অপর্যাপ্ত ঘুম
- মানসিক চিন্তা
- পানি কম খাওয়া
এলোভেরা দিয়ে ব্রণ দূর করার বিভিন্ন পদ্ধতি
এলোভেরা, সাকুলেন্ট (Succulent) পরিবারের একটি উদ্ভিদ। এটি বুনোভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ঘন ও দানাযুক্ত পাতা থাকে। এর পাতার ভিতরে থাকা পরিষ্কার জেলটি ত্বকের জ্বালা পোড়া ভাব কমানোর জন্য সাময়িকভাবে ব্যবহৃত হয় এবং অনেকেই এটি ব্রণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করেন।
অনেকেই এলোভেরা দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে তা খাবারের সাথে গ্রহন করে থাকেন, যদিও এর কোন প্রতিষ্ঠিত প্রমাণ নেই।
হালকা থেকে মাঝারি ধরণের ব্রণের চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করা গেলেও খুব বেশি ব্রণের চিকিৎসায় এর ব্যবহারে তেমন সুফল পাওয়া যায় না।
দারুচিনি, মধু ও এলোভেরা মিশ্রণ
এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ ও কমাতে সাহায্য করে। আরও দুটি উপাদান রয়েছে যাদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব রয়েছে- দারুচিনি এবং মধু। ঘরে বসে স্পা চিকিৎসার জন্য তিনটিকে একত্রিত করে, মুখের ব্রণ এবং ব্রণের গর্ত দূর করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য বিশুদ্ধ এলোভেরা জেল ব্যবহার করুন। ২ টেবিল চামচ এলোভেরার সাথে ১/৪ চা চামচ লেবুর রস যোগ করুন। এলোভেরা ও লেবু রসের অনুপাত ৮:১ রাখুন। সাথে কিছু দারুচিনির গুড়া ও ১ চামচ মধু ব্যবহার করুন। সবগুলো উপাদান একসাথে নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার পেস্টটি সারা মুখে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করুন, এর পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ দূর করতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ব্রণ এর দাগ দূর করার উপায়
এলোভেরাতে প্রদাহরোধী (Inflammation), অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল (Anti-bacterial) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Anti-oxidant) বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি শতাব্দী ধরে ক্ষত পরিষ্কার করা, ব্যথা এবং পোড়া নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। খুব কম মানুষই আছে যাদের এটি ব্যবহারে অ্যালার্জি হয়, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহারে কোন ঝুঁকি নেই।
ব্রণের ক্ষত বা দাগ দূর করার জন্য বাজারে পাওয়া বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার না করে খাঁটি এলোভেরা গাছ থেকে সংগ্রহ করে ব্যবহার করুন। এটি মুখে ব্যবহার করলে ত্বকের রক্ত প্রবাহ বাড়ে এবং এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল (Anti-bacterial) বৈশিষ্ট্য ত্বকে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো কে মেরে ফেলে।
এতে মুখের ত্বক হয় মসৃণ এবং জীবাণুমুক্ত। ফলে নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ এর কালো দাগ বা ক্ষত দূর করার উপায় হিসেবেও এটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে।
প্রাকৃতিকভাবে মুখের পিম্পল দূর করার উপায়
মুখের পিম্পল দূর করতে নারকেল তেল এবং চিনির সাথে এলোভেরা জেল একত্রিত করে ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের মৃত চামড়া বা কোষ লোমকূপ গুলোকে ব্লক করে রাখে।
এই মিশ্রণ আপনার ত্বককে এক্সফোলিয়েট (মানে ত্বকের মৃত চামড়া দূর করার পদ্ধতি) করে, চিনি এই মৃত কোষগুলোকে আস্তে আস্তে সরিয়ে দিয়ে এলোভেরার প্রবেশের পথ পরিষ্কার করে আপনার ত্বকে একে প্রবেশ করতে দেয় এবং সুস্থ ত্বকের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে।
নারকেল তেলের নিজস্ব অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি একটি প্রাকৃতিক উপশমকারী হিসেবেও কাজ করে। তিনটি উপাদান একত্রে ব্যবহার ত্বককে মসৃণ এবং সতেজ করে তুলতে পারে।
মিশ্রণটি তৈরি করতে প্রাথমিক উপাদান হিসাবে নারকেল তেল ব্যবহার করুন। ১/২ কাপ চিনিতে ১/২ কাপ নারকেল তেল যোগ করুন এবং ভালভাবে ১/৪ কাপ বিশুদ্ধ এলোভেরার সাথে মিশিয়ে এক্সফোলিয়েট মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি আপনার মুখের উপর আলতো করে ঘষে নিন এবং খেয়াল রাখুন যাতে চোখে না প্রবেশ করে। ব্যবহারের পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
মিশ্রণটি আপনার মুখের উপর আলতো করে ঘষে নিন এবং খেয়াল রাখুন যাতে চোখে না প্রবেশ করে।
ব্যবহারের পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
চা পাতা গাছের তেল (tea tree oil) এবং এলোভেরা দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
যেহেতু চা পাতা গাছের তেল একটি প্রমাণিত জীবাণুনাশক এর নির্ভরযোগ্য উৎস এবং ব্রণ-প্রতিরোধী উপাদান,
তাই এটি এলোভেরার সাথে মিশিয়ে দিলে দ্বিগুণ উপকার পাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখবেন, চা গাছের তেল অত্যন্ত শক্তিশালী এবং অম্লীয়। তাই পরিমাণ মত ব্যবহার করতে হবে।
এলোভেরার মিশ্রণের সাথে ১-২ ফোটা চা পাতা গাছের তেল এবং পানি মিশিয়ে, মুখে ব্যবহার করুন। ৫-১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের দূরীকরণে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
ব্রণের জন্য এলোভেরা ব্যবহারের ঝুঁকি এবং জটিলতা
অনেকেই এলোভেরা দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় হিসেবে এলোভেরা চা এবং জুস সেবন করার পরামর্শ দেয়, কিন্তু সেবনের ফলে ব্রণ দূর হয় গবেষণায় এটি পরীক্ষিত হয়নি। উচ্চ মাত্রায় এটি খেলে শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে
এছাড়াও এলোভেরা বিভিন্ন ওষুধের সাথে বিক্রিয়া করে তার কার্যাবলী কমিয়ে দিতে পারে।
আপনার মুখের ত্বকে যেকোন নতুন প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে, আপনার কব্জি, কানের পিছনে, অথবা আপনার হাতের উপর তা প্রয়োগ করে, সেই প্রোডাক্টটিতে আপনার এলার্জি আছে কিনা তা পরীক্ষা করে নিন। গভীর ক্ষততে এলোভেরা ব্যবহার করলে, ত্বকের প্রাকৃতিক নিরাময়কারী ক্ষমতাও কমে যেতে পারে।
মুখের ব্রণ দূর করার ঔষধ
প্রাকৃতিক উপায় ছাড়াও বেশ কিছু ওষুধ আছে যেগুলো ব্যবহার করে ব্রণের চিকিৎসা করা যায়। মুখের পিম্পল দূর করার জন্য ওষুধ ব্যবহার করতে চাইলে, ব্যহারের আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ব্রণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু ওষুধের নাম –
- ডক্সিসাইক্লিন (Doxycycline)
- স্পাইরোনোলেক্টন (Spironolactone)
- ব্যাকট্রিম (Bactrim)
- রেটিন-এ (Retin-A)
- সেফালেক্সিন (Cephalexin)
- এডোক্সা (Adoxa)
- এরিথ্রোমাইসিন (Erythromycin)
- টেট্রাসাইক্লিন (Tetracycline)
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রাকৃতিক উপায়ের চেয়ে ওষুধ ব্যহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি হয়। সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় ত্বক শুকিয়ে যাওয়া এবং জ্বালাপোড়া করা। এছাড়া –
- ত্বকে লালচে ভাব
- পেট খারাপ করা
- মাথা ঘোরা
- স্কিন র্যাশ
- মুখ, ঠোঁট ও জিহ্বা ফুলে যাওয়া
এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
আপনার মুখ যদি শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে বেশি কালো হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার হাইপারপিগমেন্টেশন (Hyperpigmentaion) আছে। ত্বকে অতিরিক্ত মেলানিন থাকলে হাইপারমিগমেন্টেশন হয়। যদিও এটি দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে দেখতে খারাপ লাগে।
যেকোন বয়সের মানুষেরই হাইপারমিগমেন্টেশন হতে পারে। যেসব কারণে এটিবেশি হয় –
- সূর্যের আলো
- কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত ওষূধ সেবনের কারণে
- গর্ভাবস্থায়
- যাদের মুখে ব্রণ আছে
- হরমোনাল পরিবর্তন
যদিও ফর্সা হওয়ার অনেক প্রসাধনী সামগ্রী রয়েছে। আপনি যদি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে ফর্সা হতে চান তাহলে
নিঃসন্দেহে এলোভেরা ব্যবহার করুন।
বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে যে আপনার ত্বকে এলোভেরা প্রয়োগ করলে হাইপারপিগমেন্টেশন কমে যায়। কিন্তু কালো দাগ পুরোপুরি নাও ভাল হতে পারে।
এলোভেরা যেভাবে ত্বক ফর্সা করতে কাজ করে
কিছু গবেষণায় দেখ যায়, এতে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা ত্বককে আরো কোমল করতে সাহায্য করে।
এই রাসায়নিক পদার্থগুলো হল অ্যালোইন (Aloin) এবং অ্যালোসিন (Aloesin) । এরা ত্বকের কোষে থাকা মেলানিন (Melanin) কে ধ্বংস করে এবং পুনরায় মেলানিন উৎপাদন করতে বাধা দিয়ে হাইপারমিগমেন্টেশন হ্রাস করে।
এটি (Hyperpigmentation) প্রতিরোধে অ্যালোসিনের ভূমিকা সম্পর্কে গবেষণার সময় বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন যে
অতিবেগুনি রশ্মি – বা সূর্যের আলো – হাইপারপিগমেন্টেশনের একটি প্রধান কারণ।
হাইপারমিগমেন্টেশন আছে এমন কিছু মানুষের উপর একটি গবেষণা চালানো হয় ঠিক এইভাবে –
- কিছু সংখক মানুষকে শুধুমাত্র অ্যালোসিন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়
- আরবিউটিন (মেলানিন প্রতিরোধ করে এমন আরও একটি উপাদান যা অন্য উদ্ভিদে পাওয়া যায়) দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়
- কিছু সংখ্যক মানুষকে অ্যালোসিন এবং আরবিউটিন দুটোই দেয়া হয়
- এবং কিছু মানুষকে কোন ট্রিটমেন্ট দেয়া হয় না
গবেষণা হতে প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী দেখা যায় যাদের ত্বকের চিকিৎসায় অ্যালোসিন ব্যবহার করা হয়েছে তাদের
হাইপারমিগমেন্টেশন অনেকাংশে কমে গেলেও যাদের কোন ট্রিটমেন্ট দেয়া হয় নি তাদের হাইপারমিগমেন্টেশন এর কোন
পরিবর্তন হয় নি। অন্যদিকে যাদেরে ক্ষেত্রে অ্যালোসিন এবং আরবিউটিন দুটোই একসাথে ব্যবহার করা হয়েছে তাদের
হাইপারমিগমেন্টেশনের চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
আপনি সরাসরি উদ্ভিদ থেকে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন, অথবা আপনার স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে অ্যালোভেরা জেল কিনে নিতে পারেন। খেয়াল রাখবেন-
- কয়েক বছর বয়সী একটি পরিপক্ক এলোভেরা গাছ থেকে জেল সংগ্রহ করুন।
কারণ তুওলনামূলক বয়ষ্ক উদ্ভিদগুলিতে অ্যালোইন এবং অ্যালোসিনের মাত্রা বেশি পরিমাণে থাকে। - যতটা সম্ভব মূলের কাছাকাছি থেকে একটি পাতা কেটে নিন।
খেয়াল রাখতে হবে যেন সংগ্রহ করা পাতাটিতে কোন ধরণের ক্ষত না থাকে এবং এর রঙ যেন গাড় সবুজ হয়। - ব্যবহারের জন্য জেল সংগ্রহ করে নিন।
সরাসরি গাছ বা দোকান থেকে কিনে যেভাবেই এলোভেরা ব্যবহার করুন, ব্যবহারের সময় হাইপারপিগমেন্টেড এলাকায় ভাল
করে জেল লাগিয়ে নিতে হবে তা না হলে পুরোপুররি উপকার পাওয়া যাবে না।
যদিও এলোভেরা ব্যবহারের জন্য কোন প্রতিষ্ঠিত ডোজ নেই, তাই যতটুকু লাগে ততটুকুই ব্যবহার করুন।
৫-১০ মিনিট পর ভাল করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সাধারণত হাইপারমিগমেন্টেশ এর জন্য এলোভেরা ব্যবহারে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পাওয়া যায় না, হোক সেটা সরাসরি গাছ
থেকে পাওয়া অথবা প্রসাধনী সামগ্রী (ভাল মানের) হিসেবে কিনে ব্যবহার করা।
তবে মনে রাখবেন এলোভেরা ব্যবহার করলে পুরোপুরিভাবে মুখের কালো দাগ চলে যায় না বা আপনার ত্বক অনেক ফর্সাও হয়ে যাবে না। তবে রূপচর্চায় নিয়মিত এলোভেরা ব্যবহারে কিছুটা ভালো ফল পেতে পারেন যদি এলোভেরা ব্যবহারে এলার্জির সমস্যা হয় তাহলে ব্যবহার বন্ধ রাখুন যেকোন বয়সেই ব্রণ হতে পারে।
এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন যার কখনো একবারের জন্যেও ব্রণ হয় নি। এলোভেরা দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়গুলো জানা থাকলে আপনি হালকা বা মাঝারি ধরনের ব্রণের চিকিৎসা বাসায় বসেই করতে পারবেন। প্রতিদিন এটি ব্যবহার করলে কয়েকদিনের মধ্যেই পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেন? রূপচর্চা যদি করতেই হয়, তবে পার্শ্ব রতিক্রিয়া বিহীন প্রাকৃতিক এলোভেরার ব্যবহার কেন নয়?
Last Updated on April 15, 2023
এলোভেরা বাবহারের সঠিক নিয়ম জানতে পারলাম। এই পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগছে আমার কাছে মনে হয়েছে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য।
ধন্যবাদ❤️