জিংক (Zinc) মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খনিজ (Mineral) উপাদান যা খুব সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন হয়। কিন্তু শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে বিশেষত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। (গর্ভাবস্থায় জিংক সাপ্লিমেন্ট কি নিরাপদ?)
শরীরে জিংকের ঘাটতি হলে সহজেই রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। মানুষের শরীরের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক ভাবে জিংক উৎপন্ন হতে পারে না। জিংক সমৃদ্ধ খাবার ও সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে জিংকের চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। এই অনুচ্ছেদে জিংকের উপকারিতা সমূহ, অভাবজনিত রোগ, অভাব পূরণে করণীয় বিষয়াবলী সহ Zinc supplement গ্রহণের নিয়ম নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
Table of Contents
জিংক এর উপকারিতা
এর উপকারিতা সমূহ নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
১। শরীরের প্রায় ৩০০ এর মতো এনজাইমের (enzymes) কার্যকারিতায় সহায়তা করে।
যে এনজাইম গুলো হজম, বিপাক প্রক্রিয়া (metabolism) ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যাবলীতে অংশ গ্রহণ করে।
২। ত্বক সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে শরীরের যে কোন ধরনের ক্ষতস্থান দ্রুত সময়ে সারানোর জন্য জিংক বিশেষ ভাবে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও এটি ইনফেকশন প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৩। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ (NIH of US) এর তথ্য অনুযায়ী জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এবং তা করোনা প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।
৪। বয়স্কদের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে এবং বার্ধক্য জনিত মাংস পেশীর ক্ষয়ে যাওয়া (degeneration) প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
৫। পুরুষের যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। বিশেষত যৌন হরমোনের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে ও শুক্রাণুর গুণাগুণ বৃদ্ধিতে জিংকের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
৬। গবেষণায় দেখা গেছে যে হাড়ের পুনর্গঠনে (Regeneration) Zinc এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও বয়স্কদের হাড় ক্ষয়ে যাওয়া রোগ (osteoporosis) প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
৭। সর্দি ও ঠান্ডার (common cold) ক্ষেত্রে জিংক ট্যাবলেট উপশম দায়ক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও, সর্দি জনিত কারণে নাকের ঘ্রাণ শক্তি (sense of smell) কমে গেলে জিংক সম্বলিত নাকের স্প্রে ব্যবহারের মাধ্যমে ঘ্রাণ শক্তি ফিরে আসে।
৮। স্মৃতি শক্তিকে উজ্জীবিত করে এবং চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পড়ালেখায় মনোযোগ বৃদ্ধি করতে এবং বাচ্চাদের ADHD (attention deficit hyperactivity disorder) বা বেশিক্ষণ একটা কাজে মনযোগ দিতে না পারা অথবা লম্বা সময়ের জন্য স্থির হয়ে বসতে না পারা রোগের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
৯। কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। গর্ভকালীন সময়ে শিশুর সঠিক বিকাশ ও জন্মের পরে থেকে সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করে।
শরীরে জিংকের ঘাটতি হলে কী হয়?
শরীরের জন্য জিংক অনেক অল্প পরিমাণে প্রয়োজন হয়। আর তাই জিংকের ঘাটতি সচরাচর ঘটে না। তবে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এর ঘাটতি দেখা যেতে পারে।
কাদের জিংকের ঘাটতি বেশি হয়?
সাধারণত যাদের ক্ষেত্রে এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে-
- পরিপাকতন্ত্রের রোগ যেমন IBD (Inflammatory Bowel Disease) অথবা শল্যচিকিৎসা হয়েছে এমন ব্যক্তি
- যারা দীর্ঘমেয়াদী লিভার অথবা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন
- গর্ভকালীন সময়ে। গর্ভস্থ বাচ্চার বিকাশের জন্য গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে জিংকের চাহিদা তৈরি হয়
- যে সমস্ত মহিলা তাদের শিশুকে বুকের দুধ পান করান
- যে সমস্ত বাচ্চা মায়ের বুকের দুধের পরিবর্তে গরুর দুধ পান করে
- যাদের দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে
- নিরামিষাশী ব্যক্তি (শাকসবজিতে খুব কম পরিমাণে Zinc রয়েছে)
- অতিরিক্ত পরিমাণে ডায়রিয়ার ফলে শরীরে জিংকের ঘাটতি হয়
জিংকের অভাবজনিত রোগ
জিংকের ঘাটতি হলে বেশ কিছু শারীরবৃত্তীয় কাজে বিঘ্ন ঘটে। যার ফলে শরীরে নানাবিধ উপসর্গ দেখা দেয়। জিংকের অভাব জনিত কারণে যে সমস্ত রোগ বা উপসর্গ দেখা দেয় তা নিম্নরূপঃ
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় ফলে শরীরে খুব সহজেই নানাবিধ রোগ ব্যাধির আক্রমণ ঘটে
- ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায় বিশেষত নিউমোনিয়ার সংক্রমণ দেখা যেতে পারে
- দেরিতে বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয় এবং পুরুষের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়
- স্নায়ুতন্ত্রের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মাথাব্যথা ও হাত-পায়ে অবশ ভাব দেখা যায়
- শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়
- চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যেতে পারে
- ক্ষতস্থান শুকাতে দেরি হয়
- চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়
- স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে যায়
- স্মৃতি শক্তি কমে যায়
- ক্ষুধা কমে যায়
কোন খাবার জিংক সরবরাহ করে?
ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS of UK) এর নির্দেশনা অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক (১৯ থেকে ৬৪ বছর) মানুষের শরীরে দৈনিক সর্বনিম্ন ৯.৫ মিলিগ্রাম (9.5 mg) জিংকের চাহিদা রয়েছে। একজন নারীর জন্য এর পরিমাণ হলো ৭ মিলিগ্রাম। গর্ভবতী নারী ও শিশুকে বুকের দুধ পান করান এমন মায়েদের জন্য যথাক্রমে ১১ মিলিগ্রাম ও ১২ মিলিগ্রাম জিংকের প্রয়োজন হয়। তবে শিশুদের জন্য তুলনামূলক কম পরিমাণে নির্দেশিত হয়ে থাকে।
জিংক এর উৎস মূলত দুইটি। প্রধানত খাবার থেকে পাওয়া যায় যা সবচেয়ে নিরাপদ। আর দ্বিতীয়টি হলো জিংক সাপ্লিমেন্ট। এই অনুচ্ছেদের শেষের দিকে জিংক সাপ্লিমেন্ট এর নিরাপদ ব্যবহার ও মাত্রা বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রায় সব খাবারের মধ্যেই প্রাকৃতিক ভাবে জিংক রয়েছে। তবে কিছু কিছু খাবারের মধ্যে খুবই নগণ্য পরিমাণে রয়েছে যা দেহের চাহিদা পূরণে সক্ষম হয় না। জিংক সমৃদ্ধ খাবার এর তালিকা নিম্নরূপ:
- মাংস: প্রতি ১০০ গ্রাম মাংসে ৪.৮ মিলিগ্রাম জিংক রয়েছে যা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক নির্দেশিত মাত্রার প্রায় ৪৪ শতাংশ। তবে বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়া উচিত নয়। কারণ তাতে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: দুধ একটি সুষম খাবার যাতে প্রায় সব রকমের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে জিংক রয়েছে।
- ডিম: প্রায় সবার কাছেই একটি পছন্দের খাবার হলো ডিম। একটি ডিম থেকে দৈনিক চাহিদার প্রায় ৫ শতাংশ পর্যন্ত জিংক পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী অন্যান্য উপাদান যেমন প্রোটিন, খনিজ, ভিটামিন ও ক্যালরি।
- চকলেট: প্রতি ১০০ গ্রাম ডার্ক চকোলেট (Dark Chocolate) থেকে ৩.৩ মিলিগ্রাম পর্যন্ত জিংক পাওয়া যায়। উপরন্তু এতে রয়েছে প্রায় ৬০০ ক্যালরি শক্তি যা দৈনিক চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশ।
- খাদ্য বীজ ও শস্যদানা: মসুর ডাল, মটরশুঁটি, ছোলা, বাদাম সহ বিভিন্ন ধরনের শস্যদানা ও খাদ্য বীজ থেকে জিংক পাওয়া যায়। বিশেষত কাঠবাদামে প্রচুর পরিমাণে জিংক রয়েছে ।
- শাকসবজি: বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি ও আলুতে (potato) জিংক রয়েছে। যদিও খুবই সামান্য পরিমাণে রয়েছে তবে এই খাবার গুলো সার্বিক দিক বিবেচনায় স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী ভূমিকা পালন করে।
জিংক সাপ্লিমেন্ট (জিংক ট্যাবলেট)
যথাযথ পরিমাণে জিংক সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে জিংকের চাহিদা পূরণ না হলে সেক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রয়েছে Zinc supplement। সবচেয়ে বেশি প্রচলিত জিংক সাপ্লিমেন্ট হলো জিংক ট্যাবলেট যা বাজারে বিভিন্ন নামে কিনতে পাওয়া যায়। যেমন: G-zinc, Neo zinc, Nid, Oral-Z, Orazinc, P-Zinc ইত্যাদি।
জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
- পানি সহকারে ট্যাবলেট সরাসরি গিলে খেতে হবে
- খাবার গ্রহণের ১ ঘন্টা আগে অথবা ২ ঘন্টা পরে ওষুধ সেবন করা উচিত
- খালি পেটে ওষুধ সেবনের ফলে পেটে ব্যথা হলে সেক্ষেত্রে খাবারের সাথে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে
- নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে কম/বেশি পরিমাণে ওষুধ সেবন করা যাবে না
- ওষুধের ডোজ ভুলে গেলে পরবর্তী ডোজের সময় দুই ডোজ একসাথে গ্রহণ করা যাবে না
- ওষুধ চলাকালীন সময়ে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যাবে না। কারণ তাতে শরীরে জিংক শোষণের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটে।
জিংক ২০ ট্যাবলেট এর ডোজ
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ (NIH of US) এর তথ্য অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক সর্বোচ্চ জিংক গ্রহণের মাত্রা ৪০ মিলিগ্রাম। এর চেয়ে বেশি পরিমাণে সেবন করা হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। অপ্রাপ্তবয়স্কের জন্য আরো কম মাত্রার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জিংক ২০ ট্যাবলেটের ক্ষেত্রে সাধারণত নিম্নলিখিত মাত্রায় সেবন করা নিরাপদ হয়ে থাকে।
- অপ্রাপ্তবয়স্কের জন্য দৈনিক ১ টি ট্যাবলেট সকালে অথবা রাতে সেবন করতে হবে। প্রত্যেক দিন একই সময়ে ওষুধ সেবন করা উচিত
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক সর্বোচ্চ ২ টি ট্যাবলেট সকালে ও রাতে সেবনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে
- একটানা ১০ দিনের বেশি সময় ধরে ওষুধ সেবন করা উচিত নয়
- দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ সেবনের জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে
জিংক সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
বাচ্চাদের জন্য জিংক সিরাপ ব্যবহার করা সহজ কারণ বাচ্চারা সিরাপ জাতীয় ওষুধ খেতে বেশি পছন্দ করে। সাধারণত নিম্নলিখিত মাত্রায় ওষুধ সেবনের নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন:
- ১০ কেজির কম ওজনের বাচ্চার জন্য ৫ মিলি করে ওষুধ দিনে ২ বার সেবন করতে হবে
- ১০ থেকে ৩০ কেজি ওজনের ক্ষেত্রে ১০ মিলি করে ওষুধ দৈনিক ১-৩ বার সেবনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে
- তবে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২০ মিলি করে দৈনিক প্রয়োজন অনুযায়ী ১-৩ বার সেবন করতে হবে
বেবি জিংক ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
সিরাপ ছাড়া বাচ্চাদের জন্য ট্যাবলেটও পাওয়া যায়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাধারণত শরীরের ওজন অনুযায়ী মাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। প্রতি কেজি ওজনের জন্য দৈনিক সর্বোচ্চ ২-২.৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ওষুধ সেবনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ সেবন করানো সবচেয়ে নিরাপদ।
জিংক + ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
কিছু কিছু ট্যাবলেট ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর সাথে সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়ে থাকে। যা একই সাথে শরীরে ভিটামিন বি ও জিংকের অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এই দুই টি উপাদান একসাথে সেবনের ফলে কোন ধরনের জটিলতার (Interaction) সৃষ্টি হয় না। বরং শিশুদের সঠিক ভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এই উপাদান দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জিঙ্কের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি?
জিংক সমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণ করা হলেও তা অতিরিক্ততা/বিষাক্ততা সৃষ্টি করে না। তবে সাপ্লিমেন্ট বা ওষুধ বেশি পরিমাণে অথবা দীর্ঘদিন ধরে সেবনের ফলে নানাধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়। বিশেষত দীর্ঘমেয়াদী জিংক সেবনের ফলে শরীরে আয়রন ও কপার শোষণে বিঘ্ন ঘটে। যার ফলে রক্তস্বল্পতা (anemia) দেখা দেয়।
জিংক ট্যাবলেট এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- বমি বমি ভাব
- পেটে ব্যথা অনুভূত হওয়া
- এসিডিটি ও বুকজ্বালা
- ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে
উল্লেখ্য গর্ভকালীন সময়ে জিংক ট্যাবলেট সেবন করা নিরাপদ। এছাড়াও যে সমস্ত মহিলা তাদের শিশুকে বুকের দুধ পান করান তাদের ক্ষেত্রে Zinc tablets সেবন করার ফলে মা ও সন্তানের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে এমনটি কখনো পরিলক্ষিত হয় নি।
বিশ্ব ব্যাপি প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ Zinc এর অভাব জনিত সমস্যায় ভুগছেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে। জিংকের অভাব সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন যাপনের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটায়। আর তাই জিংক এর অভাব পূরণে জিংক সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি পরিমাণে খেতে হবে। প্রয়োজনে জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে তবে তা অবশ্যই নিরাপদ মাত্রায়।
Last Updated on April 8, 2023
Leave A Comment